২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামে সংগঠনটি গঠন করা হয়। কোটা বিরোধী আন্দোলনের মধ্যে কোটা বাতিলের পরিপত্র জারি হলে শাহবাগে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন। এই আন্দোলনের মধ্যেই তাঁরা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামে সংগঠনটি গঠন করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দিনকে সংগঠনটির আহ্বায়ক এবং সাবেক সড়ক ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খানের ছেলে আসিবুর রহমান খানকে সদস্যসচিব করা হয়। আর চলতি বছর মার্চে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পদবঞ্চিত নেতা আমিনুল ইসলামকে সভাপতি ও আল মামুনকে সাধারণ সম্পাদক করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা গঠন করেন জামাল উদ্দিন।
মূলত সেই সময় থেকে এই মঞ্চের ব্যানারে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা দেশের বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করছিলেন। চলতি বছরের ১০ অক্টোবর গণমাধ্যমে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আমিনুল ইসলাম ও আল আমিনকে সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেন মঞ্চের আহ্বায়ক ও মুখপাত্র জামাল উদ্দিন।
এই ঘটনার পর জামাল উদ্দিন ও আসিফ ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চে’র কেউ নন বলে দাবি করে বক্তব্য দেন আমিনুল ও আল মামুন এবং নিজেদের প্রকৃত ‘সংগঠন’ বলে দাবি করতে থাকে।
গতকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চে’র ব্যানারে যে মিছিলটি হয় এবং মিছিল শেষে ভিপি নুরুলসহ অন্যদের ওপর হামলা চালায় সেই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন আমিনুল ইসলাম ও আল মামুনের সমর্থক অংশটি। এই অংশটিকে দুর্নীতির অভিযোগে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ হারানো গোলাম রাব্বানী মদদ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।