দল ও সরকারকে আলাদা করার লক্ষ্য
নিয়ে আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্ব নিধার্রণ করা হয়েছে বলে জানালেন সত্তরোর্ধ
রাজনৈতিক দলটির বর্ষিয়ান একজন নেতা। সেই বিবেচনায় নতুন কমিটিতে জায়গা
পাওয়া এমন ক’জন মন্ত্রী সরকারের মন্ত্রীসভায় তাদের পদ হারাতে পারেন বলে
আভাস মিলেছে।
সদ্য সমাপ্ত আওয়ামী লীগের সম্মেলনে যে নতুন কমিটি হয়েছে সেখানে তেমন কোন
চমক নেই। কিন্তু এবারের নেতৃত্ব নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার ও দলকে আলাদা
করার চেষ্টা করেছে বলে জানালেন বর্ষিয়ান নেতা অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন
হুমায়ুন। যিনি আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন কমিটির প্রধান ছিলেন।
তার বক্তব্য থেকে যেটা স্পষ্ট হয় তা হলো আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক কমিটিতে
বিভিন্ন সম্পাদক পদে ছিলেন এমন ছয়জন মন্ত্রীসভায় থাকায় এবার দলের নতুন
কমিটিতে রাখা হয়নি। তারা হলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী, গণপূর্ত
মন্ত্রী স.ম. রেজাউল করিম, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী,
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান
চৌধুরি নওফেল এবং ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুলাহ।
তবে এখনও দলে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া আরও তিনজন মন্ত্রী আছেন। তারা হলেন সড়ক
পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্য মন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং
শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার কথায় আভাস মিলছে,
সরকার ও দলকে আলাদা করার প্রক্রিয়া জোরদার করতে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া
মন্ত্রীসভার আর কোন সদস্যকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কোন পদে নাও রাখা হতে
পারে। এদিকে, দ্বিতীয়বার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক মন্ত্রী ওবায়দুল
কাদের দলের কাউন্সিলের পরদিনই জানালেন মন্ত্রীসভায় আসছে রদবদল।
এদিকে, তৃণমূলের নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা অনুযায়ি সরকারের সফল পরিচালনার পাশাপাশি দলকেও আরও সুসংগঠিত করা জরুরী।
মন্ত্রীসভায় রদবদলের নিশ্চিত খবরের পর এখন সবার উৎসুক দৃষ্টি, কী পরিবর্তন
আসছে? অন্যদিকে দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে জায়গা পেতে চলছে পদ প্রত্যাশীদের
দৌড়ঝাঁপ।