রাজশাহীর ইউপি গুলোতে এলজি এসপির টাকা হরিলুট!

রাজশাহীতে স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণ প্রকল্প একাধিক ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে এবং কাজ না করেই এলজিএসপির টাকা উত্তোলন করে হরিলুট করেছে জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে করে উন্নয়ন থেকে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী বঞ্চিত হলেও পকেট ভরেছে চেয়ারম্যানদের। ফলে এলজিএসপির প্রকল্পগুলোতে সরেজমিন তদন্তের দাবী উঠেছে। আর এই তদন্ত করলেই বেরিয়ে পড়বে ভয়াবহ অনিয়ম দুর্নীতি বলে একাধিক ইউপি সদস্যরা নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে এলজিএসপির বরাদ্দ আসে রাজশাহী জেলাজুড়ে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ গুলোতে। কিন্তু চেয়ারম্যানরা ভুয়া আগের প্রকল্প দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করে পকেট ভারী করেছেন। এবারো তাঁর ব্যতিক্রম হয়নি। লাখ লাখ টাকার বরাদ্দ এসেছে ইউনিয়ন পরিষদ গুলোতে। বরাদ্দের টাকা তুলতে চেয়ারম্যানরা তাদের অনুগত ইউপি সদস্যদের নামে প্রকল্প দিয়ে মিলে মিশে লুটপাট করেন। ইউপি সদস্যরা জানান এলজিএসপির বরাদ্দের টাকায় কোন কাজ করা হয় না। চেয়ারম্যানরা আগের কাজের প্রকল্প দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করেন। আবার কোন সদস্য এসব নিয়ে কথা বললে কোন প্রকল্প দেয়া হবেনা বলে হুমকিও দেয়া হয়। এলজিএসপির প্রকল্পগুলো নিয়ে সরেজমিন তদন্ত করলেই ধরা পড়বে দুর্নীতি। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্ষমতাসীন দলের হবার কারনে এসব দুর্নীতি করে যাচ্ছেন তারা। তবে অন্যদলের দু একজন ইউপি সদস্য থাকলেও তাদেরকে বরাদ্দ তো দূরের কোথা কোন প্রকল্প নেয়া হয়েছে সেটাও বুঝতে দেয়া হয়না। তারাও ভয়ে কোন প্রতিবাদ করতে পারেনা। এদিকে, তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন পরিষদে ২০ লাখ ৪৬ হাজার ২৫ টাকা, পাচন্দর ইউনিয়ন পরিষদে ২১ লাখ ৩৫ হাজার ২৭০ টাকা, বাধাইড় ইউনিয়ন পরিষদে ১৬ লাখ ৭৫ হাজার ৩৪৫ টাকা , চান্দুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদে ১১ লাখ ৯১ হাজার ৪২৭ টাকা সরনজাই ইউনিয়ন পরিষদে ১০ লাখ ৮০ হাজার ৪৮৭ টাকা ও তালন্দ ইউনিয়ন পরিষদে ১২ লাখ ১৮ হাজার ২৮৮ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয় । স্থানীয় মানুষজন জানান, নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষদের নিয়ে সভা করে সর্বসম্মতভাবে জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় প্রকল্প গ্রহণ করার কথা। কিন্তু উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন স্থানে পিসি (কমিশন) দিয়ে লুটপাট নির্বিঘœ করেছেন তারা। এভাবেই স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের মহোৎসব চলে ইউনিয়ন পর্যায়ে। চেয়ারম্যান সচিবের কাছে এলজিএসপি প্রকল্পের তথ্য চাইলে তাঁরা কোন ভাবেই দিতে চাইনা। তবে এক সচিব জানান প্রকল্পের কাজের ছবি দেখালেই উত্তোলন করা যায় বরাদ্দের টাকা।