রাজশাহীর প্রবীণ সাংবাদিক আনোয়ারুল আলম ফটিকের মরদেহের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে মহানগরীর গোরহাঙ্গা গোরস্থানে তার মরদেহ দাফন সম্পন্ন করা হয়। এর আগে বাদ জুম্মা নগরীর বালিয়াপুকুর জামে মসজিদে ফটিকের জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজশাহী সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান মো. লিয়াকত আলী, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী শাহেদ, সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হক প্রমুখ। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে বালিয়াপুকুর মহল্লায় নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আনোয়ারুল আলম ফটিক। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, একমাত্র ছেলেসহ আত্মীয়-স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। সাংবাদিক ফটিক রাজশাহীর স্থানীয় দৈনিক সোনালী সংবাদ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া বাংলাদেশ বেতারের রাজশাহী কেন্দ্রের একজন অনুবাদক এবং দৈনিক ভোরের পাতা পত্রিকার রাজশাহী ব্যুরো প্রধান হিসেবে কাজ করছিলেন। কর্মময় জীবনে তিনি রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি ছিলেন দীর্ঘ দিন। গত ২৭ নভেম্বর তিনি ব্রেইন স্ট্রোক করেছিলেন। সেদিনই দুপুরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার বাম হাত ও পা প্রায় অকেজো হয়ে পড়েছিল। চিকিৎসকরা তাকে বাসায় নিয়ে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা দেয়ার পরামর্শ দেন। তাই গত ৭ ডিসেম্বর তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার থেরাপি চলছিল। এরই মধ্যে সবাইকে ছেড়ে চলে গেলেন রাজশাহীর এই প্রবীণ সাংবাদিক।