পাবনার চাটমোহরে ভূমিগ্রাসী সন্ত্রাসীদের হামলা, ভাঙচুর, লুটপাটের প্রতিবাদে ও নিজের জমিতে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাসের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী একটি পরিবার। শনিবার বিকেলে উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের বড়শালিখা গ্রামের আনোয়ার হোসেন কায়েমের স্ত্রী রাফিয়া পারভীন মুক্তি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। এসময় তারর পরিবারের সদস্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তেব্যে ভূক্তভোগী বলেন, ২০১৮ সালের ১৩ই আগষ্ট চাটমোহর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে বড়শালিখা মৌজার ২৮৭ নং দাগের ৫ শতাংশ বসতবাড়ি জনৈক রেজাউল করিমের নিকট থেকে ক্রয় করি। কিন্তু এই জমির পূর্বের মালিক মোছাঃ মদিনা খাতুন এবং তার ৪ ভাই বশির আল হেলাল, আমজাদ হোসেন, মোসলেম উদ্দিন ও হুমায়ুন কবির চুন্নু বেদখল দেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়। তারা জোরপূর্বক জমির সীমানা বেড়াসহ অন্যান্য বেড়া ভাঙচুর করেন। এবিষয়ে চাটমোহর থানায় অভিযোগ দেওয়া হলে তারা কোন সুরাহায় না বসে আদালতে মিথ্যে অভিযোগে মামলা করেন। কোন প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি না করতে চাটমোহর থানার ওসি উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার নির্দেশ দেন।
কিন্তু মদিনা খাতুন ও তার ভাইয়েরা আবারো জমি দখলের অপচেষ্টা চালায়। জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে মদিনা খাতুন গং গত ৪ ডিসেম্বর আকস্মিক আমাদের বসতবাড়ির উপর হামলা চালায় এবং আমাদের মারপিট শুরু করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে তারা পুলিশের উপরও হামলা করে। এতে পুলিশের ৩ সদস্যসহ ১০/১২ জন আহত হন। গুরুতর আহত রফিকুল ও হোসেন আলীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। হামলাকারীরা বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে রাফিয়া পারভীন মুক্তি আরো বলেন, আমাদের ক্রয়কৃত জমিতে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে চাই। যাদের জমিতে কোন স্বত্ত¡ই নেই, সেই সকল ভূমিগ্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে রাফিয়ার স্বামী আনোয়ার হোসেন কায়েম, তার মেয়ে কেয়া পারভীন, রেজাউল করিম, আব্দুল জব্বার, সাব্বির হোসেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।