নিখোঁজের ৭ ঘণ্টা পর শিশু উদ্ধার

শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে নিজের বাড়ি থেকে একশ গজ দূরে চাচার বাড়িতে বেড়াতে যায় শিশু বিথী (১০)। এরপর ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় দুশ্চিন্তায় পরে মা-বাবা। খোঁজ নিলে চাচি জানায় বিথী আধা ঘন্টা আগেই বাড়ি থেকে বের হয়ে গেছে। তখন আশেপাশের বাড়িতে বিথীকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে সবাই। কিন্তু কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি। অবশেষে থানা পুলিশে খবর দেয়া হয়। পুলিশ রাত আটটার থেকে শিশুটির বাড়ির আশেপাশে সহ বিভিন্ন এলাকায় অনুসন্ধান চালিয়ে ব্যর্থ হন। পরে পুলিশ বীথির বাবা-মার কাছে বিস্তারিত শুনে চাচা দুলাল ও তার স্ত্রীকে সন্দেহ করেন। এতে দুলাল ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দ্রæত বীথিকে বাবা-মার কাছে ফেরত দিতে বলেন। নইলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দেয় পুলিশ। ঘটনাটি ঘটে পাবনার ভাঙ্গুড়ায় উপজেলার পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের চক্রপাড়া গ্রামে। বিথী ওই গ্রামের হেলাল উদ্দিনের মেয়ে ও ভেড়ামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালযয়ে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী।

এই অবস্থায় মেয়েকে না পেয়ে আরও হতাশ হয়ে পড়েন বাবা-মা সহ পরিবারের অন্যরা। একপর্যায়ে রাত সোয়া একটার দিকে কে বা কাহারা বিথীকে বাড়ির পাশের সড়কে রেখে যায়। তখন অনেকটা সংজ্ঞাহীন অবস্থায় বীথিকে ফিরে পায় বাড়ির লোকজন। এ সময় বিথী কোনো কথা বলতে পারছিল না। পরে পুলিশ গিয়ে শিশুটির সাথে কথা বলে তথ্য উদঘাটন করতে চাইলেও সম্ভব হয়নি। এমনকি শিশুটি শনিবার দুপুর পর্যন্ত পরিষ্কারভাবে কথা বলতে পারেনি। পুলিশের বক্তব্য শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে কথা বললেই নিখোঁজ হওয়ার রহস্য জানা যাবে। তখন পরিবার চাইলে এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।

ভাঙ্গুড়া থানার ডিউটি অফিসার এসআই রতন কুমার বলেন, শিশুটি নিখোঁজ হলে তার চাচা ও চাচিকে সন্দেহ করা হয়। এরপর শিশুটিকে ফেরত দিতে ওই চাচা ও চাচিকে এক ঘন্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। এর সাড় তিন ঘন্টা পরে শিশুটিকে পাওয়া যায়। এখন পরিবার চাইলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।