কমছে পানি। বাড়ছে শঙ্কা। উৎকন্ঠা। কখন ঝড়ে রক্ত। কে হবে পিতা হারা। কে হারাবে স্বামী। কোন মায়ের বুক ফাঁটা আর্তনাদ বুকে এসে বিধবে। কোন বাবার বোবা কান্না বৃষ্টি হয়ে ঝরবে। পাবনার দুই উপজেলার ভূমির উপর দিয়ে প্রবাহিত একটি বিল যার নাম জলকর বিল। মঙ্গলবার সকালে বিলজলকায় বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত সৌখিন মৎস্য শিকারীরা মতিন গং এর বাধায় ফিরে আসে।
সাঁথিয়া উপজেলার স্বরগ্রাম মৌজা ও আটঘরিয়া উপজেলার বিল জলকর, দোলামপুর, গারুলিয়া, মঙ্গলগ্রাম মৌজার ১নং খতিয়ান ভূক্ত ১৫টি দাগে প্রায় ১০৪ একর ভূমি নিয়ে এই বিল। শীতকাল থেকে বিলের পানি কমতে শুরু করে। পানি কমার সাথে সাথে মৎস্যজীবির ব্যানারে স্বার্থন্নেষী মহল মাছ ধরার জন্য প্রস্তুত হয়। তেতিয়ে উঠে বিল পাড়ের পক্ষ বিপক্ষরা। যেন বিলের মাছই শান্তি ভঙ্গ কারীদের লালনের হাতিয়ার। রাজনৈতিক পরিমন্ডলের সদস্য ও জনপ্রতিনিধিরা নড়ে চড়ে বসেন। চোখ কান খোলা রাখেন। বিগততে বিল জলকরের মাছ নিয়ে একাধিক বার সংঘর্ষ হয়েছে। গেছে অনেক তাজা প্রাণ। এলাকাবাসী দেখেছে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি। সন্ত্রাসী কাজে সহায়তা অক্সিজেন যোগান দাতারা আগুনে ঘি ঢালছে। এলাকাটি রেডজোন নামে অধ্যুষিত। ১১/০৬/২০১৮ইং তারিখে পাবনা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আটঘরিয়া উপজেলার যাত্রাপুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি আব্দুল মতিন এর নামে টি.এম কেস নং ১২ ভূক্ত গারুলিয়া জলমহলের বাংলা ১৪২৫/১৪২৭ সন পর্যন্ত ১নং খতিয়ানে বিল জলকা মৌজার ৭টি দাগে ৪৭.৫৩ একর, দোলামপুর মৌজা ২ দাগে ২.৯৫ একর, গারুলিয়া মৌজার ১ দাগে ০.৮৯ একর, মঙ্গলগ্রাম মৌজার ২ দাগে ১.৫০ একর মোট ৫২.৮৭ একর দখল নামা পত্র দেয়। বিলজলকর জলমহলে সাঁথিয়া উপজেলার স্বরগ্রাম মৌজার ১নং খতিয়ানে ৫৮৩ দাগে ২৪.৭০ একর ১নং দাগে ২৪.৭০ একর ৫৩ দাগে ১.৪৫ একর মোট ৫০.৮৫ একর। আঃ মতিন গং ৫২.৮৭ একর লীজ নিয়ে সাঁথিয়া ৫০.৮৭ একর মোট ১০৩.৭২ একর ভূমি জলকর জোড় পূর্বক ভোগ দখলের পায়তারা করছেন বলে স্বরগ্রামসহ আশপাশের প্রান্তিক মৎস্যজীবিরা অভিযোগ করেন। সাঁথিয়া অংশ জমি বাদ দিয়ে মাছ ধরার অনুরোধ করলে আব্দুল মতিনসহ তার সাঙ্গঁপাঙ্গরা অস্বীকার করে। এমনকি কয়েক জন মৎস্যচাষীকে মারপিটে আহত করে। এতে জলমহলের দুই পারের বাতাস গরম হয়ে উঠছে। যে কোন সময় জীবন নাশের মত রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে। সাঁথিয়া উপজেলার আর-আতাইকুলা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোস্তফা শামীম ভুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের স্বরগ্রাম মৌজার উক্ত ৩ দাগে ৫০.৮৫ একর জমি সায়রাত ভূক্ত করনের জন্য পাবনা জেলা প্রশাসক বরাবর পত্র দেন। আর.এস খতিয়ান সূত্রে দেখা যায় সাঁথিয়া উপজেলার স্বরগ্রাম মৌজা ও আটঘরিয়া উপজেলা দোলামপুর মৌজার মধ্যে অর্ধেক-অর্ধেক হারাহারি রের্কড ভূক্ত হয়। ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সাঁথিয়া অংশে লাল কালি ও আটঘরিয়ার অংশে সবুজ কালি চিিহ্নত করে স্কেচম্যাপ তৈরী করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে দেন। এ বিষয়ে বিল পাড়ের শান্তি প্রিয় মানুষরা তাদের স্বজন হারিয়ে যাওয়ার তালিকা থেকে রক্ষা ও এলাকাটি যাতে গ্রীণ ক্যাটাগরিতে আসে, তার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও পুলিশ প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এুবষয়ে ভুলবাঢ়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ আবু ইউনুস বলেন, ঘটনাটি শুনার পরই ওই এলাকার মেম্বরের মাধ্যমে উভয়দের ডেকে কোন হাঙ্গামা না হওয়ার বিষয়ে জানিয়ে দিব।