রাজনগর উপজেলার মহলাল এলাকার ৮নং মনসুর নগর ইউনিয়নে একের পর এক সরকারী জমি দখল করা হচ্ছে। সরকারী পানি উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, এলজিডির মূল্যবান জমি দখল করে নিয়ে তৈরী করছেন পাকাঁ দালান কোঠা। স্থানীয় মহলাল বাজারের লোক ও এলাকার মানুষের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিভাগ গুলোকে অবগত করার পরও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ৮নং মনসুর নগর ইউনিয়নের তশীলদারসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কিছু লোক মাসহোরা পেয়ে থাকেন। যার কারনে কোন আইনি পদক্ষেপ নেন না। গত এক ডিসেম্বর আবারও এই ভূমি খেকো মহলাল বাজার আর,এস ৪৩২নং খতিয়ানে, ৫১৫ নং দাগের সাথে এলজিডির কিছু জমির উপর স্থায়ী স্থাপনা নির্মান করছেন সৈয়দ আনকার আলী। এ ব্যাপারে রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করার পরও কোন আইনি ব্যাবস্থা নেননি। এমনকি পাকাঁ ঘর নির্মানের কাজ বন্ধ করেননি। জানাযায়, যেখানে তিনি পাকাঁ ঘর নির্মান করেছেন তা মৌলভীবাজার- কুলাউড়া মহা সড়ক ও চৌধূরী বাজার এলাকার সংযোগ স্থল। ৮/১০ গ্রামের লোক, স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী বিভিন্ন স্থানে যাতাযাতের জন্য এই মহা সড়কে উঠে। এলজিডির রাস্থার এই সংযোগ স্থলে পাকাঁ ঘর নির্মান করায় দূর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। উক্ত ভূমি দখলকারী সৈয়দ আনকার আলী ৮ নং মনসুর ইউনিয়নের মহলাল বাজারের আরএস জেল নং-৯৯, মৌজা মহলাল, দাগ নং-৫২২,৫২৩,৫২৪ (এস,এ খতিয়ান ও দাগে সড়ক ও জনপথের) বেশ কিছু জমির উপর বহু পূর্ব থেকে বিল্ডিং নির্মান করে দোকান কোঠা ভাড়া দিয়েছেন। মহলাল এলাকার জামের তল নামক স্থানে সড়ক ও জনপথ, ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখল করে মোরোগের খামার ও তার কাজের লোক থাকার জন্য পাকাঁ ঘর নির্মান করেছেন। আর এই খামারের বর্জের গন্ধে মহা সড়ক দিয়ে পায়ে হেটে বা গাড়িতে যাতাযাত করতে গিয়ে নাক মুখ বন্ধ করতে হয়। এলাকার পরিবেশ মারাতœক ভাবে দূষিত হয়ে পড়ছে। এই ভাবে একের পর এক সরকারী জমি দখল করে তিনি নিজ প্রয়োজনে ব্যবহার করছেন বা ভাড়া দিচ্ছেন। ইদানিং মহলাল বাজারে এক নও মুসলিম মো: নূরুল ইসলাম, পিতা:মৃত অবিনাশ শব্দ কর এর কিছু জমি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি। মহলাল বাজারে নূরুল ইসলামের মৌরসী আর এস ৫১৪,৫১৬,৫১৫ দাগে .০৯ শতক জমি নিয়ে জেলা প্রশাসক মৌলভীবাজারের সাথে মামলা চলছে। উক্ত ভূমির একাংশ এলজিডির জমির সাথে দখল করে নেন সৈয়দ আনকার আলী। এ ব্যাপারে কাজ বন্ধ রাখার জন্য রাজনগর থানার ওসি নিকট অভিযোগ করেও তিনি কোন প্রতিকার পাননি। রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, আমি তশীলদারকে বলে দিয়েছি বিষয়টি দেখার জন্য। এবং কাজ বন্ধ করে দেয়ার জন্য। স্থানীয় মহলাল বাজারের লোক জন জানান, ইউনিয়নের তশীলদার মহলাল বাজারে আসেননি বা কোন নির্দেশ দিয়েও যাননি।