ইয়ানূর রহমান : দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে পুড়ে ছারখার প্রতিবন্দী মেহের আলীর স্বপ্ন। যশোর সদর উপজেলার কচুয়া নতুন বাজারের মৃত মোছলেম মোল্লার প্রতিবন্দী ছেলে মেহের আলী (৪২) বসতবাড়ির আঙ্গিনায় বছর দশেক ধরে টোং দোকানে চা-পান বিক্রি করে কোনো মতে সংসার চালিয়ে আসছিলেন।
মা-বাবা ও স্ত্রীকে হারিয়ে প্রতিবন্দী জীবনে একমাত্র ছেলেকে নিয়ে অনাটনের সংসারের একমাত্র আয়ের উৎস বলতে সরকার প্রদেয় প্রতিবন্দী ভাতা ও ছোট্ট চা-পানের দোকানের সামান্য আয়। সেটিও সইলো না এই অভাগার কপালে গত বুধবার গভীর রাতে কে বা কারা আগুনে পুড়িয়ে সর্বশান্ত করে দিলো তাকে।
প্রতিদিনের ন্যায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে দোকানটি বন্ধ করে রান্নাবান্না শেষে মা হারা একমাত্র ছেলে কে নিয়ে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর আনুমানিক রাত সাড়ে ৩টার দিকে বিকট শব্দে ঘরের বাইরে এসে দেখি দোকান ঘরে আগুন দাউ-দাউ করে জ্বলছেটূ। চিৎকার চেচামেচিতে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আগুন নেভানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেন। ততক্ষনে সব শেষ হয়ে যায়।
দোকানের ভিতরে থাকা প্রায় ৩০-৩৫ হাজার টাকার মালসামানা, নগদ ২৫ হাজারের মত টাকা, প্রিয় বঙ্গবন্ধুর ছবি, ন্যাশনাল আইডি কার্ড ও প্রতিবন্দী ভাতার বই সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদী পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
মেহের আলী জানান- জন্ম থেকে আমি প্রতিবন্দী হয়ে জীবন কাটাচ্ছি ৷ এক পায়ে কোনো রকম শক্তি পাইনা। যে কারনে অন্য কোনো কাজ কর্ম করতে পারিনা। অনেক কষ্টে এই টোং দোকানটা করেছিলাম কিন্তু গত রাতে কেউ আমার পেটে লাথি মারলো এখন আমি নিরুপায় কি ভাবে সংসার চলবে সে চিন্তাই বিভোর।