নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়ার কৃতিসন্তান জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী ক্লোজআপ তারকা সুলতানা ইয়াসমিন লায়লার সখি গো আমার মন ভালো না গানটি ইন্টানেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। লায়লার কন্ঠে সখি গো আমার মন ভালো না শিরোনামের গানটি ইউটিউব চ্যানেলে এ পর্যন্ত ৫ মিলিয়ন বারেরও বেশি দেখা হয়েছে। এছাড়াও বর্তমান সময়ের ব্যস্ত এই শিল্পীর গানটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও অনেক পেইজে লাখ লাখ মানুষ দেখেছেন। স¤প্রতি ইগলু ফোক স্টেশন অনুষ্ঠানে গাওয়া গান আরটিভি মিউজিক নামের ইউটিউব চ্যানেলে গত ২১ অক্টোবর রিলিজ হয়। এরপর থেকেই ভাইরাল হয় গানটি।
কামরুল হাসানের ভাবনায় অনুষ্ঠানটির ডিরেকশন দেন নুর হোসেন হিরা এবং সঙ্গীতায়োজন করেন জে কে মজলিশ। “আঁখ খেতে ছাগল বন্দি, জলে বন্দি মাছ। নারীর কাছে পুরুষ বন্দি, ঘুরায় বার মাস সখী গো আমার মন ভালা না। কালার সাথে পিরিত কইরা, সুখ পাইলাম না।সখি গো আমার মন ভালা না” ময়মনসিংহ গীতিকার এই গানের কথাগুলো রাস্তা ঘাট, দোকানেও এখন সবার মুখে মুখে। নতুন আঙ্গিকে পুরোনো জনপ্রিয় গানে সুর ও ডিজিটাল মিউজিকে দ্রুত তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। রবিবার বিকেল পর্যন্ত ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিওটি দেখা হয়েছে ৫ মিলিয়ন বারেরও
বেশি। এমন সাফল্যের খবরে স্বাভাবিকভাবেই খুশি এ গানের শিল্পী। এ প্রসঙ্গে প্রতিবেদকের সাথে আলপকালে গানের পাখি খ্যাত সুলতানা ইয়াসমিন লায়লা বলেন- শ্রোতাদের প্রত্যাশার জায়গাটাকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করি। গান যখন শ্রোতাদের প্রিয় হয় তখন সবার শ্রম সার্থক হয় বলে মনে করি। শ্রোতাদের উৎসাহ-অনুপ্রেরণাই আমার আগামীর পথচলার পাথেয়। আর এ গানটি যে এতো সাড়া ফেলবে, একদমই ভাবিনি। ফেসবুক, ইউটিউবে সবার কমেন্ট, প্রশংসা এবং উৎসাহ-অনুপ্রেরণায় আমি মুগ্ধ হয়েছি। সবার প্রতি আমার আন্তরিক ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা।
উলেখ্য, বাবার কাছে গান শেখার হাতেখড়ি হয় সুলতানা ইয়াসমিন লায়লার। লায়লা মূলত লোক গানের শিল্পী।
ফকির লালন সাঁইজির গান পরিবেশনে পারদর্শী তিনি। বাংলাদেশ বেতারে এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনে লালনের গানের শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত আছেন। ২০১৬ সালে তার প্রথম একক অডিও অ্যালবাম
আমার কুঞ্জে প্রকাশিত হয়। ২০১২ সালে ক্লোজআপ-১ চ্যা¤িপয়ন হন নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়ার মেয়ে সুলতানা ইয়াসমিন লায়লা।