নাজিম হাসান,রাজশাহী থেকে :
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারী,বির্তকিত, গ্রহণযোগ্যহীন ও হাইব্রিড নবীনদের দাপটের প্রবিণ ত্যাগী ও নিবেদিত প্রাণ নেতাকর্মীরা নিজ ঘরেই পরবাসী হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অদৃশ্য শক্তির কারনে জামায়াত,বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দল থেকে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছেন তারা। অন্যদিকে নতুর হাইব্রিড ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতার অনুসারী বির্তকিত, গ্রহণযোগ্যহীণ, সুযোগ সন্ধানী ও সুবিধাভোগীরা রয়েছেন ফুরফুরে মেজাজে। এরা টেন্ডারবাজি,চাঁদাবাজি,সালিশ বাণিজ্য,নিয়োগ বাণিজ্য,বদলি বাণিজ্য,গভীর নলকুপ অপারেটর নিয়োগ, টিআর,কাবিখা.কর্মসৃজন কর্মসূচি,এলজিএসপি ও তদ্বীর বাণিজ্যেসহ বিভিন্ন কাজে অবৈধ হস্তক্ষেপ ও নানা বির্তকিত কর্মকান্ডের মাধ্যমে নিজেদের আখের গোছাতে শুরু করেন বলেও অভিযোগ করেন উপজেলার তৃণমূল নেতাকমীরা। অন্যদিকে শিক্ষা অফিস,এলজিইডি,বিএমডিএ,খাদ্যগুদাম,হাসপাতাল,জণস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর,মৎস্য অফিস ও পিআইও অফিসহ বিভিন্ন দফতরে টেন্ডারবাজি ও অযাচিত হস্তক্ষেপের কারণে উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও নামে মাত্র উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়িত হলেও বির্তকিত নেতাদের দাপটে কাজের গুনগতমাণ কমে গেছে কিন্ত কাজের মান নিয়ে কথা বলা যাচ্ছে না বলেও একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। আর তাদের এসব অপকর্মের কারণে সাধারণের মধ্যে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন ও নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হতে শুরু হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতা অভিযোগ করে বলেন, আমরা যখন দল করেছি তখন তাদের বাবাকে দিখিনি আওয়ামীলীগ করতে। কিন্তু এখন দেখছি তারাই আওয়ামী লীগের বড় নেতাকর্মী। বিশেষ করে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী যুবলীগের প্রভাবশালী কতিপয় নেতার কাছে পুরো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জিম্মি হয়ে পড়েছে, ওই নেতাই এখন বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকের ভূমিকা পালন করেছে। অভিযোগ উঠেছে, অনুপ্রবেশকারী, গ্রহণযোগ্যহীণ, সুযোগসন্ধানী ও হাইব্রিডদের অতিমাত্রায় মূল্যায়ন করায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে দলীয়কোন্দল মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এবিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল কোনো নেতার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এ ব্যাপারে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক প্রভাষক মাহাবুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,দলে অনুপ্রবেশকারীদের ঠেকাতে হলে প্রবীন আ’লীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে তৃনমূলের মাঠ পর্যায় থেকে প্রকৃত আ’লীগকে বাছাইয়ের মাধ্যমে কাউন্সিলর তৈরী করতে হবে। তা হলেই অনুপ্রবেশকারীরা আ’লীগের ঠাঁই পাবেনা।