ঈদে মিলাদুন্নাবী(সাঃ),মহা নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)এর শুভাগমনে নানা আয়োজন ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দিবসটি উৎযাপন হয়েছে রাজশাহীতে। দিনটি উপলক্ষে সকালে বিভিন্ন মসজিদ ও সংগঠনের উদ্যোগে মহানগরীতে জশনে জুলুস বের করা হয়। দিবসটি পালন উপলক্ষে রবিবার সকাল সাড়ে আটার সময় মহানগরীর শিরইল কলোনী বায়তুল মামুর জামে মসজিদ থেকে প্রতি বছরের ন্যায় এবারো জশনে জলুশ ধর্মীয় র্যালী বের করে গাউছিয়া কমিটি। এসময় র্যালীটি শিরোইল কলোনীর বায়তুল মামুর জামে মসজিদ প্রাঙ্গন থেকে বের হয়ে দরগাপাড়া হযরত শাহ মখদুম (রাঃ) এর মাজারে চাদরপুসি,পুস্পস্তবক অর্পন ও মাজার জিয়ারত করে শেষ হয়। এ সময় সমগ্র মুসলিম উম্মার এবং দেশ ও জাতির জন্য শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এতে মোনাজাত পরিচালনা করেন শিরোইল কলোনী বায়তুল মামুর জামে মসজিদের সম্মানিত খতিব মাওলানা আতাউল মোস্তাফা কাদেরী। র্যালী শেষে মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া খায়ার করে সেখানে তাবারুক বিতরণ করা হয়। অপরদিকে, বেলা ১১ টার সময় মহানগরীর সপুরা সুফীনগর খানকাহ বখ্শীয়া দরবারে মুখ্তারীয়া থেকে একটি ধর্মীয় মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি পরিচালনা করেন সাহেবে খানকাহ্ মাওলানা শাহ্ মুহাম্মদ ওয়াকার আহমাদ কাদেরী।এসময় মিছিলটি খানকাহ শরীফ থেকে নগরীর নওদাপাড়া আমচত্ত¡র হয়ে গোরহাঙ্গা,রেলগেট,ভদ্রা,তালাইমারী মোড়,সাহেববাজার, হড়গ্রাম বাজার, কাশিয়াডাঙ্গা বাইপাস,কোর্ট স্টেশন প্রদক্ষিণ করে সুফীনগর খানকাহ শরীফে গিয়ে শেষ হয়। এখানে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে একটি দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া মহানগরীতে দিনভর আয়োজন করা হয়েছে আলোচনা সভা,ওয়াজ মাহফিল ও মিলাদ মাহফিল, হামদ ও নাথ প্রতিযোগিতা। এসব অনুষ্ঠানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মহানবীর (সাঃ) জীবনাদর্শের সঠিক অনুসরণ-অনুশীলনের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হবে বলে গাউছিয়া কমিটির সভাপতি ড: শরিফুল ইসলাম জানান।