পাবনা প্রতিনিধি ঃ
পাবনা মানসিক হাসপাতালটি ১৯৫৭ খ্রীঃ ১১১ একর জমির উপর নির্মিত হয় ৫০০ আসনের মানসিক হাসপাতাল। ৬১ বছর আগে ১৯৫৭ খ্রীঃ পাবনায় এই মানসিক হাসপাতালটি স্থাপিত হয়েছিল। ঠিক মানসিক হাসপাতালের পাশে অবস্থিত অনুকুল ঠাকুরের আশ্রম। প্রতি বছর ভারত, কলকাতা ও বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অনেকে মানসিক হাসপাতাল ও অনুকুল ঠাকুরের আশ্রম দেখতে আসেন। যে খানে সড়ক পথে যে কোন স্থান হতে বাস অথবা নিজস্ব পরিবহন মারফত পাবনা বাস টার্মিনাল আগমন করে। টার্মিনাল হতে পাবনা মানিসিক হাসপাতাল ৭ কি:মি: দুরে অবস্থিত। পাবনা বাসটার্মিনাল হতে রিক্সা/অটোরিক্সা/সিএনজি যোগে আনুমানিক ২০-৩০ মিনিটের মধ্যে হাসপাতালে পৌছানো যায়। দেশের মানসিক রোগীদের চিকিৎসার জন্য পাবনা মানসিক হাসপাতাল একটি প্রাচীনতম এবং ঐতিহ্যবাহী হাসপাতাল। এক সময় হাসপাতালটি ১১১ একর জায়গাজুড়ে থাকলেও সেটি বর্তমানে ৮১ একর ভূমির উপর অবস্থান করেছে। হাসপাতালের পুরো স্থানজুড়ে নতুন পুরাতন ৪০ টি ভবন রয়েছে। যেখানে মোট ওয়ার্ড সংখ্যা ১৯ টি এবং ৫০০ টি আসনের মধ্যে ১৫০টি শয্যা অর্থের বিনিময়ে এবং ৩৫০টি শয্যা বিনামূল্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এখানে ২০ বছরের পুরোনো রুগীও রয়েছেন। বর্তমানে হাসপাতালের নতুন ভবনে ঝুকি না থাকলেও পুরাতন দোতলা ছাদ গুলোতে ঝুকি নিয়েই চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম। রোগীদের সেবায় নিয়োজিত ১৬ নং কক্ষের সিনিয়র স্টাফ নার্স ওয়ার্ড ইনচার্য মোছাঃ মল্লিকা খাতুন, সামসুন্নাহার, সেলিনা খাতুন, শামছে আরা, কাবেরী রানী মিস্ত্রী, মোমেনা, লাকী, সুলতানা, আমনা, শায়লা, লিপি খাতুন, ফেরদৌসী খাতুন, চিকিৎসক, নার্সসহ সবারই নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে। পুরাতন ভবন গুলোর দোতলা ছাদ গুলোর বেহাল দশা কখন উপড় থেকে খুলে পড়ে মাথায়। মহিলা বৃত্তি বিভাগ, পথ্য বিভাগ সহ ৮ টি ওয়ার্ড ঝুকির মধ্যে রয়েছেন। কর্মচারীরা বলেন আমাদের ঝুঁকি আছে কিন্তু ঝুঁকি ভাতা নেই। অধিক সংখ্যক রোগীর আগমন হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. তন্ময় প্রকাশ বলেন, এই হাসপাতালে বর্তমানে পুরাতন ভবন গুলোর দুইতলা ছাদ, মহিলা বৃত্তি বিভাগ, পথ্য বিভাগ সহ ৮ টি ওয়ার্ড ঝুকির মধ্যে রয়েছেন যে কোন মুহর্তে ঘটতে পারে দূর্ঘটনা। তিনি প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন ।