পাবনা মানসিক হাসপাতালে ৩০ জন চিকিৎসকের মধ্যে শূন্যপদ ২১ টি

৫০০ শয্যা বিশিষ্ট মানসিক হাসপাতাল পাবনায় চিকিৎসা সেবা ব্যহত হচ্ছে চিকিৎসকের অভাবে। হাসপতাল সূত্রে জানা গেছে, পাবনা মানসিক হাসপাতালে মঞ্জুরীকৃত ৩০ জন চিকিৎসকের বিপরীতে পরিচালক সহ ৯ জন চিকিৎসক বর্তমানে কর্মরত আছেন। হাসপাতালের চিকিৎসা তত্ত¡াবধায়ক সহ ২১ টি পদ শূণ্য রয়েছে। এর মধ্যে ২ জন সিনিয়র কনসালটেন্টের , ১ জন ক্লিনিক্যাল সাইকিয়াট্রিষ্ট, ১ জন আবাসিক সাইকিয়াট্রিষ্ট, ৫ জন ক্লিনিক্যাল এ্যাসিসটেন্ট, ৪ জন মেডিকেল অফিসার, ৩ জন সহকারী রেজিষ্ট্রার, ১ জন ডেন্টাল সার্জন, ১ জন এ্যানেসথেটিষ্ট, ১ জন ক্লিনিক্যাল প্যাথলজিষ্ট এবং ১ জন বায়োকেমিষ্ট এর পদ শুণ্য থাকায় হাসপাতালের ভর্তি রোগী সহ বহি:বিভাগের রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হীম সীম খাচ্ছে পাবনা মানাসিক হাসপতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ।
এছাড়াও ১ম শ্রেণির কর্মকর্তাদের ৮টি পদের মধ্যে ২ জন ক্লিনিক্যাল সাইকোলিজিষ্ট, ১ জন সাইকিয়াট্রিক সোসাল ওয়ার্কার এবং ১ জন এসএলপিপি এর পদ শূন্য রয়েছে। ২য় শ্রেণির ৪৫ টি পদের বিপরীতে ২২ টি পদ শুণ্য । যার মধ্যে প্রশাসনিক কর্মকর্তা সহ ১ জন সিনিয়র নার্স এবং ২২ জন স্টাফ নার্সের পদ শূন্য রয়েছে।
হাসপাতালের পরিচালক ড. প্রফেসর তন্ময় কুমার প্রকাশ জানান, রোগীদের স্বার্থে জরুরী ভিত্তিতে হাসপতালের শূন্য পদসমূহ পুরন করা অত্যাবাশ্যক। এ জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্কৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেছেন বলে তিনি জানান।

জরাজীর্ণ ও ঝুকিপূর্ণ ভবন-
যে কোন মুহুর্তে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা

হাসপাতাল এর ১৪ টি ওয়ার্ডে রোগীদের রাখা হয়। এর মধ্যে ৭ টি ওয়ার্ডের অবস্থা খুবই ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জরাজীর্ণ ও ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানান হাসপতাল কর্তৃপক্ষ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপতালের ১৪ টি ওয়ার্ডের মধ্যে স¤প্রতি ৭ টি মেরামত করা হলেও বাঁকী ৭ টি ওয়ার্ডের মেরামত কাজ অর্থাভাবে বন্ধ রয়েছে। এসব ওয়ার্ডের ছাদের প্লাস্টার খুলে খুলে রোগীদের ওপর পড়ে অনেকেই আহত হয়েছেন। অনেক স্থানে ছাদের রড বের হয়ে গেছে। দ্রুত মেরামত করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে বলে কর্তব্যরত কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ জানান।। এ ব্যাপারে ১৩ নং ওয়ার্ডের কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স মুবাইয়া জানান, স¤প্রতি ১৩ নং ওয়ার্ড সহ ৭ টি ওয়ার্ডের সংস্কার কাজ করায় রোগীদের রাখার সুন্দর পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
এদিকে ১৬ নং ওয়ার্ডে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স মোছাঃ মলি­কা খাতুন জানান, তার ওয়ার্ড সহ ৭ টি ওয়ার্ডের অবস্থা খুবই ঝুকিপূর্ণ। যে কোন মুহুর্তে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। হাসপাতালের পরিচালক ড. প্রফেসর তন্ময় কুমার প্রকাশ জানান, রোগীদের স্বার্থে জরুরী ভিত্তিতে হাসপতালের ঝুকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলো সংস্কার করা অত্যাবশ্যক। এ জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্কৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেছেন বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে গণপূর্ত বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী জানান, পাবনা মানসিক হাসপাতালের ঝুকিপূর্ণ ওয়ার্ড মেরামতের জন্য অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। অর্থ পাওয়া গেলে বাঁকী কাজ সমাপ্ত করা হবে।