রফিকুল ইসলাম সুইট : যথাযথ মর্যাদায় শোকাবহ পরিবেশে পাবনায় পালিত হয়েছে জেল হত্যা দিবস। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ,পাবনা আইন জীবি সমিতি(বার সমিতি), শহীদ এম মনসুর আলী কলেজ, পাবনা সিটি কলেজসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসুচী পালন করে। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পন, শোক র্যালী, আলোচনা সভা, কবর জিয়ারত, দোয়া মাহফিল সহ নানা কর্মসুচী পালিত হয়।
সকালে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পন করেন পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, যুবমহিলা লীগসহ সহযোগী ও অঙ্গসংগঠন। সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও পাবনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল এর সভাপতিত্বে এ সব কর্মসুচীতে অংশ গ্রহন করেন নাদিরা ইয়াসমিন জলি এমপি, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ নেতা নেতা এম সাইদুল হক চুন্নু, মো. শহীদুল্লাহ, বিজয় ভুষন রায়, মনির উদ্দিন আহমেদ মান্না, এ্যাড. আব্দুল আহাদ বাবু, সরদার মিঠু আহমেদ, মোশারোফ হোসেন, এ্যাড. তসলিম হাসন সুমন, সোহেল হাসান শাহীন, শাজাহান মামুন, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি শহিদুর রহমান শহীদ,সাধারণ সম্পাদক তৌফিক উল আলম, সহ সভাপাতি হাবিবুর রহমান হাবিব, জেলা যুবলীগের আহবায়ক আলী মর্তুজা বিশ্বাস সনি,যুগ্ন আহবায়ক শাকিরুল ইসলাম রনি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শিবলী সাদিক, সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, জেলা যুবমহিলা লীগের সভাপতি এ্যাড. আরেফা খানম শেফালি, সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর ফেরদৌস কনা, সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি , সাধ্রাণ সম্পাদক রোমানা আকতার মিতু প্রমূখ।
দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় শোকাবহ পরিবেশে পালন করেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে শনিবার চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান এর রাজশাহীস্থ সমাধীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলী, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলামসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি, প্রক্টর, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার ও চেয়ারম্যানসহ জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা।জেলহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে বিকাল ৩ টায় গ্যালারি ২ তে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে জাতীয় চারনেতার আত্মার মাগফেরাত কামনায় বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী,কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
পাবনা আইনজীবি সমিতি দিবসটি পালন করে। জেলা বার সমিতির সভাপতি আমনুল ইসলাম পটল এর সভাপতিত্বে বার সমিতির কর্মসুচীতে অংশ গ্রহন করেন জেলা বার সমিতির সদস্যরা।
সকালে শহীদ এম মনসুর আলী কলেজ দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসুচী পালন করে। সকালে একটি শোক র্যালী কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে শেষ হয়। কলেজ মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অংশ গ্রহন করেন- অধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ খান, সহকারী অধ্যাপক মো. আশরাফ আলী, সাইদুল ইসলাম ফকির, আব্দুল মমিন, মাকসুদা খুশি, জাহাঙ্গির ফিরোজ প্রমুখ।
পাবনা সিটি কলেজ দিবসটি উপরক্ষে নানা কর্মসুচী পালন করে। অধ্যক্ষ মো. সুজন মাহমুদ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশ গ্রহন করেন- সহকারী অধ্যাপক মোঃ রেজাউল করিম, মোঃ শাহিনুর ইসলাম, আশরাফুজ্জামান টিংকু, মোঃ আনোয়ার হোসেন, খতিব মাহবুবুর রহমান, প্রভাষক মোঃ শাহজাহান আলী সহ প্রমুখ। আলোচনা শেষে জাতীয় চার নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন প্রভাষক মোঃ আব্দুল আলিম।
দিবসটি পালনকালে বক্তারা বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে বর্বর হত্যাকান্ডে ঘটে ১৯৭৫ এর ৩ নভেম্বর জেলখানার মধ্যে। ৭৫এর ১৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার ধারাবাহিকতায় খুনিরা চার নেতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে আওয়ামীলীগ তথা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে বিনাশ করতে চেয়েছিল। জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে আওয়ামীলীগকে নেতৃত্ব শুন্য করতে চেয়েছিল। বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় খুনিরা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর অন্যতম চারসহযোগিকে হত্যা করে। উপাচার্য আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার জন্য জাতীয় চার নেতার আদর্শকে বুকে ধারণ করে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি আরো বলেন, নবীন এই বিশ্ববিদ্যালয়কে গড়ার জন্য আমি সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।