ঝিনাইদহের শৈলকুপা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে একের পর এক অঘটন ঘটেই চলেছে । এবার বিদ্যালয়টির পিয়ন শহিদুল ইসলাম কে প্রধান শিক্ষিাকা দিলারা ইয়াসমিন জোয়ার্দ্দার তার কক্ষে ডেকে নিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের সামনেই চড়-থাপ্পড়, কিল-ঘুষি মারেন, নখের আঁচড়ে শরীর ক্ষত হয় । এতে তার নাকের পাশে, বুকে, মাথা সহ শরীরের বিভিন স্থানে ক্ষত হয়ে যায় । খামচি আর টানা-হেঁচড়ায় ছিড়ে গেছে পিয়নটির গেঞ্জিও । দুপুর ২টার পরে শৈলকুপা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। আহত পিয়ন কে ঘটনার পরপরই শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ হাসপাতালে এসে বিষয়টির খোঁজখবর নিয়েছেন।
আহত পিয়ন শহিদুল ইসলাম জানান, স্কুলের ল্যাপটপ আর মাউস ঠিক করে রাখতে বলার পরপরই কোন কারণ ছাড়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর ও বকাবাজি শুরু করে প্রধান শিক্ষিকা । এসময় প্রধান শিক্ষিকা দিলারা ইয়াসমিন জোয়ার্দ্দার কে নিবৃত করার চেষ্টা করে অন্যরা। এক পর্যায়ে স্কুলের কয়েকজন সহকারী শিক্ষক আহত পিয়ন শহিদুল ইসলাম কে হাসপাতালে এনে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের নিকট অভিযোগ করেন। তিনি আহত পিয়ন শহিদুল কে থানায় যেতে পরামর্শ দিয়েছেন।
আহত পিয়ন আরো জানান, তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ।
এদিকে ঘটনা টি অস্বীকার করে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষিকা দিলারা ইয়াসমিন জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের অবিভাবক, তিনি কি তার পিয়ন কে মারতে পারেন ?’ তিনি বলছেন ‘সাংবাদিকদের মুখেই প্রথম শুনলেন এমন ঘটনা ঘটেছে, এমন ঘটনা আমার বিদ্যালয়ে ঘটেনি’ ।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তৈয়বুর রহমান খান জানান, সোমবারে ম্যানেজিং কমিটিতে বৈঠক ডাকা হবে এ বিষয়ে। এ ছাড়া তারা আইনের আশ্রয় নিতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত প্রায় দ’ুবছর ধরে শৈলকুপা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে নানা অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারীতা আর অর্থ কেলেংকারীর ঘটনা ঘটে আসছে। সব অভিযোগের তীর প্রধান শিক্ষিকা দিলারা ইয়াসমিন জোয়ার্দ্দারের বিরুদ্ধে । এমন নানা ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রনালয়, শিক্ষা অফিস, ইউএনও অফিস সহ স্থানীয় নানা তদন্ত অব্যহত রয়েছে।