পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে দেশের পূর্বাঞ্চলের মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলা নিয়ে দেশের ৬৫তম জেলা গঠনের প্রস্তাব করেছেন সাবেক গণমাধ্যম কর্মী ও কুলাউড়া উপজেলার ১০ নং হাজীপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চু। তার মতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভান্ডার এ এলাকাকে পর্যটন জেলা করা হলে দেশি-বিদেশি পর্যটকের নানা সুবিধার পাশাপাশি পর্যটন খাতে সরকারের রাজস্ব আয়ও বহুগুণ বেড়ে যাবে। জানা গেছে, বর্তমান সরকার পর্যটন খাতে আয় বাড়াতে চায়। এ নিয়ে চলছে সরকারের নানামুখী কর্মতৎপরতা। মন্ত্রী সচিবসহ বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ দেশের আনাচে কানাচে গিয়ে বিশিষ্টজনের মতামত নিচ্ছেন। চলছে মতবিনিময়, পরামর্শ সভা আর নানামুখি পলিল্পনা। এবিষয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সচিব, পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যানসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সময় সল্পতায় বিজ্ঞ নাগরিকদের অনেকেই এ বিষয়ে তাদের মুল্যবান মতামত তুলে ধরতে পারেননি। এ সভায় জনপ্রতিধি ও সাংবাদিক আব্দুল বাছিত বাচ্চু ১০ মিনিট বক্তব্য রাখেন। কিন্তু স্বল্প সময়ে তার পুর্নাঙ্গ মতামত প্রকাশ পায়নি। এ প্রসঙ্গে আব্দুল বাছিত বাচ্চু বলেন, পর্যটকদের জন্য যেমন আকর্ষণীয় স্পষ্ট দরকার, ঠিক তেমনি প্রয়োজন উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, মানসম্মত খাবার, আবাসিক ব্যবস্থা, নিরাপত্তা আর সঠিক গাইড লাইন। তার মতে, দেশের সর্ববৃহৎ হাকালুকি হাওর, মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত-ইকোপার্ক, আগর-আতরের রাজধানী, মাধবপুর লেক, হামহাম জলপ্রপাত, দেশের একমাত্র চা গবেষণা কেন্দ্র, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, শমসের নগর বিমান ঘাটি, অসংখ্য চা বাগান, আদিবাসী পল¬ী, সীমান্ত এলাকা, নদী ছড়া সবই দেশের পূর্বাঞ্চলে। তাই সেই এলাকার কুলাউড়া, কমলগঞ্জ, জুড়ি ও বড়লেখা উপজেলা নিয়ে আরো একটি পৃথক জেলা তথা দেশের ৬৫ তম জেলা করা যেতে পারে এবং এটি পর্যটন জেলা ঘোষণা করে মহা-পরিকল্পনা গ্রহণ করা যেতে পারে। যে পর্যটন জেলায় ৪ উপজেলা, ৩ পৌরসভা, ৩৯ টি ইউনিয়ন, ৫ টি বড় নদী, অর্ধ শতাধিক চা বাগান, হাকালুকি হাওর, কুলাউড়া রেলওয়ে জংশন, বিমানঘাটি সবই আছে। জনসংখ্যা হবে প্রায় ১১ লাখ আর আয়তন প্রায় ১৭ শ বর্গ কিলোমিটার। তিনটি সংসদীয় আসন হবে নতুন এই জেলায়। প্রস্তাবিত জেলার নাম হতে পারে হাকালুকি/মাধবকুন্ড/মনু অথবা গ্রহণযোগ্য যেকোন একটি। আর নতুন এই জেলা হলে পর্যটকদের আকর্ষণ বৃদ্ধির সাথে এ খাতের রাজস্ব আয় যেমন আয় বাড়বে ঠিক তেমনি অবহেলিত পূর্বাঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়ন আর পরিবর্তনও হবে। জেলার হেডকোয়ার্টার হবে কুলাউড়া বা এর আশপাশের কোন স্থানে। যেখান থেকে মৌলভীবাজার, কমলগঞ্জ, বড়লেখাসহ পর্যটন স্পষ্টগুলোতে যাওয়া যাবে মাত্র এক ঘন্টার মধ্যে। এতে পর্যটকদের যাতায়াত ব্যয় কমবে অর্ধেক। দেশের যেকোন এলাকা এবং রাজধানী থেকে ট্রেনে অথবা সড়ক পথে আসতে পারবেন দেশি-বিদেশি পর্যটকেরা। জেলা সদর হলে নিরাপত্তা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ভৌত অবকাঠামো গড়ে উঠবে। ফলে পর্যটকদের আবাসিক সমস্যার সমাধান হবে। এ প্রস্তাবনার ব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রীসহ সংশি¬ষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।