জাতীয় উদ্যান লাউয়াছড়ার গহীনে কোটি কোটি টাকার বৃক্ষ পঁচে নষ্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত। শত বছর বয়সী এসব বৃক্ষ অবহেলায় পড়ে থাকতে দেখে সাধারণ পর্যটকেরা দোষ দিচ্ছেন খুদ বন কর্তৃপক্ষকে। তারা জানিয়েছেন, এসব বৃক্ষগুলী কেটে যদি নিলামে বিক্রি করা হতো তবে, সরকারি কোষাগারে কয়েক কোটি টাকা জমা পড়তো। বৈরী আবহাওয়া ও বৃষ্টি এলেই লাউয়াছড়ার পাহাড়ী এলাকায় এসব মূল্যবান বৃক্ষ উপড়ে পড়ে যায়। সেই পড়ে যাওয়া গাছগুলী বছরের পর বছর এভাবেই থেকে যায়। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারনেই এভাবেই সেগুন,জারুলসহ আরো অনেক জাতের পাহাড়ী বৃক্ষ পচে থাকতে দেখা যায়। দেখা যায়, জাতীয় এ উদ্যানের ভেতরে সমতল ও পাহাড়ী আঁকা-বাঁকা পথে ১শ থেকে দেড়শ ফুট লম্বা ১৫ থেকে ২০টির বেশি বৃক্ষ ঝড়-তোফানে কবলিত হয়ে ছিটকে পড়েছে। ৮ থেকে ১০ ফুট চৌড়া সাইজের মাটিতে পড়ে থাকা আকাশি,বেলজিয়াম,সেগুন,জারুলসহ আরো ১৫/২০ জাতের বৃক্ষের প্রতিটির দাম হবে প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা। বনের গহীনে এরকম শত শত বৃক্ষে পঁচন ধরেছে। সরকারি এসব বৃক্ষগুলীর সঠিক তদারকী না করাতে লাউয়াছড়ায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে গাছ চুরির হিড়িক। বন কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করে লাউয়াছড়ায় ঘুরতে আসা মৌলভীবাজার শহরের পূর্ব গীর্জাপাড়া এলাকার মামুনুর রশীদ মহসীন বলেন, বনের ভেতরে যদি বন বিভাগ তাদের কর্তৃত্ব দেখাতে না পারে তবে, সাধারণ পর্যটকেরা অনাহাসে কিভাবে ঘুরতে পারেন।