বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে পেঁয়াজের ঝাঁজ বেড়েই চলছে। পেঁয়াজের এমন ঝাঁজে ক্রেতারা এখন দিশেহারা। প্রতিদিন পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলছে। বিশ্বনাথে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা। আর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১১৫ থেকে ১২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির ফলে ক্রেতা সাধারণ হিমশীম খাচ্ছেন। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ পড়ছেন চরম বিপাকে। তাদের প্রতিদিন গড় আয় ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। তাদের আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের কোনো সংগতি নেই। চাল-ডাল তরি-তরকারি কেনার পর নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র কেনা দুঃসাধ্য। পেঁয়াজের দাম লাগামহীন ভাবে বেড়ে যাওয়ায় তারা অত্যন্ত ক্ষুব্দ।এদিকে, গত দুইদিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে দিনমজুর মানুষগুলো কাজে যেতে পারছেনা। যারা প্রতিদিনে কাজ বের হলে, ঘরে খাবার আসে। তারা পড়ছেন বড় বিপাকে। এরমধ্যে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নিম্মআয়ের মানুষগুলো। অনেকে দামের কারণে পেঁয়াজ ক্রয় না করে বাড়ি ফিরছেন।
ক্রেতারা বলছেন, সরকার তুরস্ক, মিয়ানমারসহ অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানীর পরও কেন দাম কমছে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এর দায় এড়াতে পারবেন না। গুটি কয়েক আমদানীকারক এবং আড়ৎদারেরা জোগসাজসে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছে। পেঁয়াজের দাম লাগামহীনভাবে বেড়ে গেছে। এক সপ্তাহ আগেও আগে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে। কিন্তু বর্তমানে কেজি প্রতি ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা বেড়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর দুর্ভোগের সীমা থাকবে না।
(২৬ অক্টোবর) শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলা সদরের পুরান বাজার ও নতুন বাজারের অধিকাংশ দোকানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি করছে। এ সময় পেঁয়াজের দাম নিয়ে কয়েকজন ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে বাকবিতন্ডা চলতেও দেখা যায়।
দিনমজুর মনির মিয়া বলেন, ৪/৫দিন আগেও প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ৮০-৮৫ টাকা। আর এখন বলছে ১২০ টাকা।
উপজেলা সদরের পুরান বাজার মুদি ব্যবসায়ী রিশন মালাকার বলেন, আমরা কী করবো। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১১০ টাকায় পাইকারি দামে কিনেছি। এখন ১১৫ টাকায় বিক্রি করছি। তিনিও ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ব্যবসা করতে আর ভালো লাগছে না। পেঁয়াজের দাম নিয়ে প্রতিদিন ক্রেতাদের সঙ্গে ঝগড়া-ঝাটি করতে হয়।
বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বর্নালী পাল বলেন, এ সমস্যা এখন সারা দেশব্যাপী চলছে। তারপরও উপজেলা প্রশাসন নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছেন।