নাজিম হাসান,রাজশাহী থেকে :
দুই দশকেরও বেশি সময় রাজশাহীর চিড়িয়াখানার খাচায় বন্দী ছিলো এমন ২৭টি পাখিকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বুধবার সকালে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান বোটানিক্যাল গার্ডেন ও চিড়িয়াখানার খাঁচা থেকে পাখিগুলোকে ছেড়ে দেয়া হয়। এর মধ্যে সাতটি ভুবন চিল। আর ২০টি নিশিবক। রাজশাহী সিটি করপোরেশন পরিচালিত এই চিড়িয়াখানার খাচায় বংশবিস্তারের ফলে পাখির সংখ্যা বেড়ে গেছে। আর নানা কারণে প্রকৃতিতে কমছে পাখির সংখ্যা। প্রকৃতিতে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এই ২৭টি পাখিকে অবমুক্ত করা হলো। বুধবার সকালে সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন পাখিগুলোকে ছেড়ে দেন। সঙ্গে সঙ্গে মুক্ত আকাশে উড়াল দেয় পাখিগুলো। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, আনুমানিক ২০ বছর পর এভাবে মুক্ত আকাশে উড়লো পাখিগুলো। আরও দুই শতাধিক বক এবং কিছু পাখি অবমুক্ত করা হবে। পাখিগুলোকে অবমুক্ত করার পর মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বাংলাদেশ অনেক পাখি প্রায় বিলুপ্ত। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার্থে এবং পাখিরা যেন মুক্ত আকাশে উড়তে পারে, সেজন্য পাখিগুলো অবমুক্ত করা হলো। এখন থেকে চিড়িয়াখানায় পাঁয়রার খাঁচা উন্মুক্ত রাখা হবে। পায়রা পুরো চিড়িয়াখানায় ঘুরবে। আবার উড়ে উড়ে এসে খাচায় বসবে। এতে সৌন্দর্য্যও বৃদ্ধি পাবে। চিড়িয়াখানার ভ্যাটেরিনারী সার্জন ডা. ফরহাদ উদ্দীন জানান, বর্তমানে আবাসস্থল ও খাদ্য সংকট, অবৈধ শিকার, পাচার, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা কারণে অধিকাংশ বন্য প্রানী ও পাখী বিলুপ্তির পথে। তবে আমাদের চিড়িয়াখানায় পাখির বংশবিস্তার হয়েছে। তাই পুরনো পাখিগুলোকে ছেড়ে দেয়া হলো। তিনি জানান, ভুবন চিল প্রায় ১০০ বছর বাঁচে। আর নিশিবকের আয়ু প্রায় ৩০ বছর। অবমুক্ত করা পাখিগুলো ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চিড়িয়াখানার খাচায় বন্দী ছিলো। তাই তাদের মুক্ত আকাশে ওড়ার সুযোগ করে দেয়া হলো। পাখি অবমুক্তকরণের সময় উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পাল, শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান বোটানিক্যাল গার্ডেন ও চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।