বীরগঞ্জে নিজপাড়া ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে এমএ খালেক সরকার

মোঃ আবেদ আলী, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ॥ বীরগঞ্জে ৭২ ঘন্টায় নিজপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান খালেক সরকারের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষনের মামলা না নিয়ে ধর্ষিতাকে গালাগালি দিয়ে নাজেহাল করার অভিযোগ।
নিজপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর কল্যানী গ্রামের রিক্সা-ভ্যান চালক ইউনিয়নের সদস্য খায়রুল ইসলামের স্ত্রী রশিদা বেগমের অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, একই গ্রামের তছলিম উদ্দিনের ছেলে ইউপি চেয়ারম্যান এমএ খালেক সরকারকে সরকারী সাহায্য সহযোগিতার জন্য অভাবের কথা জানাইলে তিনি রিলিপের কার্ড দিবেন বলে আশস্ত করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান খালেক সরকার গৃহবধুকে বিভিন্ন ভাবে কুপ্রস্তাব দিত। গত ১৮ অক্টোবর সকাল ১০ টায় চেয়ারম্যানের দেয়া ঠিকানায় গেলে তিনি বাড়ীর নীচতলায় বৈঠক ঘরে বসতে বলেন। গৃহবধু ওই স্থানে অপেক্ষা করিতে থাকিলে আসামী কৌশলে বৈঠক ঘরের দড়জা লাগাইয়া দেয় এবং তাকে ধাক্কাইয়া মাটিতে শোয়াইয়া দেয়। গৃহবধু সম্ভ্রম রক্ষার জন্য চিৎকার করিলে তাকে হত্যার হুমকি প্রদর্শন করিয়া পড়নের শাড়ী ও পেডিকোট খুলিয়া ফেলিয়া দিয়া বিবস্ত্র করিয়া ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষন করে।
পরবর্তীতে আসামী তাহাকে ছারিয়া দিয়া প্রকাশ করে যে, ধর্ষনের বিষয়ে কাহাকেও জানাইলে তোমাকে ও তোমার পরিবারের লোকজনকে জীবনে মারিয়া শেষ করিয়া দিব। আর ঘটনার বিষয় চুপ থাকিলে তোমাকে রিলিপের কার্ড ও টাকা পয়সা দিয়া সাহায্য সহযোগিতা করিব। গৃহবধু রশিদা বেগম কাঁদিতে কাঁদিতে ওই স্থান হইতে বাহির হইয়া আসিয়া ধর্ষনের বিষয়ে খায়রুল ইসলাম, মনোয়ারা বেগম ও আবু তাহেরকে জানায়।
এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে থানায় মামলা নেয়নি পুলিশ। অবশেষে ধর্ষিতা দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাক্ষাত করে মামলা না নেয়ার বিষয়টি অবহিত করে। পুলিশ সুপার ঘটনা তদন্ত করে মামলা গ্রহনের জন্য ওসিকে নিদের্শ দেন এবং ধর্ষিতাকে থানায় পাঠিয়ে দেন। বীরগঞ্জ থানার ওসি আসামীকে থানায় ডেকে এনে ধর্ষিতার মুখোমুখী করেন এবং একাধিক মোবাইলে ধর্ষিতার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভিডিও ধারন করেন। ধর্ষক ও পুলিশ ধর্ষিতাকে নানাভাবে ভয়ভীতি ও গালিগালাজ করে থানা থেকে বের করে দেন বলে ধর্ষিতা রশিদার স্বামী খায়রুল ইসলাম জানান।
এ ব্যাপারে নিজপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান খালেক সরকারের সাথে সাক্ষাত করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমি দুই বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান অথচ সাবেক মেম্বার রমজান, শাহিনুর, আফসার, বকুল বেগম, তাহের ও সিদ্দিকসহ একটি কুচক্রী মহল আমার সুনাম ক্ষন্ন করার জন্য হত্যা, অগ্নি সংযোগ, জমি দখল ও ধর্ষনসহ চারটি মামলা দায়ের করে হয়রানী করার চেষ্টা করছে।