বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বিশ্বনাথেরগাঁও গ্রামে যুক্তরাজ্য প্রবাসী সিরাজ উদ্দিনের মালিকানাধীন জায়গা জোরপূর্ব দখল করে রাস্তা পাকাকরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে প্রতিপক্ষের লোকজন রাতের আধারে এই রাস্তাটি পাকাকরণ করেছেন বলে অভিযোগ করেন উপজেলার বল্লবপুর গ্রামের সফিক মিয়ার পুত্র মোহাম্মদ দিলাল মিয়া।তিনি অভিযোগ করেন, বিশ্বনাথেরগাঁও গ্রামের মৃত আছমত আলীর পুত্র সিরাজ উদ্দিন আত্মীয়তার সম্পর্কে তার বোনের স্বামী। সিরাজ উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে স্বপরিবারে যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। তাদের অবর্তমানে সিরাজ উদ্দিনের বাড়িটি পশ্চিম পার্শ্বের সীমানার প্রায় ৫০ ফুট দৈঘ্য ও প্রায় ১০ ফুট প্রস্থের ভূমি পার্শ্ববর্তী বাড়ির বাসিন্দা মৃত খলিলুর রহমানের পুত্র মোহাম্মদ আলী উরফে মর্তুজ আলী পক্ষের লোকজন দখল করে আত্মসাৎ করার চেষ্টা করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় মোহাম্মদ আলী পক্ষের লোকজন গত ২৮ সেপ্টেম্বর ওই জায়গা দখল করে পাকা দেয়াল নির্মাণ করার প্রস্ততি নিতে থাকলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন দিলাল মিয়া। তখন তিনি প্রতিপক্ষের লোকজনকে নির্মাণ কাজ বন্ধ করার অনুরোধ করলে তারা উত্তেজিত হয়ে উঠেন এবং তাকে হত্যার হুমকি প্রধান করেন। এবিষয়ে প্রবাসী সিরাজ উদ্দিনের পক্ষে দিলাল মিয়া বাদী হয়ে গত ৩ অক্টোবর মোহাম্মদ আলী উরফে মর্তুজ আলী, তার ভাই, সানুর আলী, একই গ্রামের মৃত আজিজুর রহমানের পুত্র ইছহাক আলী ও ইছহাক আলীর পুত্র সেবুল মিয়া সহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে অভিযুক্ত করে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি বিবিধ মামলা দায়ের করেন। এরই অভিযোগটি তদন্ত পূর্বক আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল ও শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে থানা পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করেন আদালত। আদালতের নির্দেশনা পেয়ে ৭ অক্টোবর বিরোধপূর্ণ জায়গায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে কোন স্থাপনা নির্মাণ না করতে নোটিশ প্রদান করেন থানার এএসআই জামাল খান। কিন্ত আদালত ও পুলিশের নির্দেশনা অমান্য করেন মোহাম্মদ আলী পক্ষের লোকজন ওই দিন দিবাগত রাতের আধারে জোরপূর্বক জায়গা দখল করে রাস্তা পাকাকরণ কাজ সম্পন্ন করেন বলে অভিযোগ করেন দিলাল মিয়া।এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার এএসআই জামাল খান বলেন, আদালতের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে আমি উভয় পক্ষের বাড়িতে গিয়ে নোটিশ প্রদান করি। ২০ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।