নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুরের বন্যার কারণে ৪টি ইউনিয়নের ১৮টি চরের মোট কোটি ১৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকার ক্ষতি র্নিধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। কৃষকদের প্রনোদনার পাশাপাশি ক্ষতি পুষিয়ে নিতে মোট চার হাজারের অধিক কৃষকের নাম পাঠানো হয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে।
লালপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়,পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে আকস্মক বন্যায় লালপুর সদর, বিলমাড়িয়া, ঈশ্বরদী ও দুরদড়িয়া এই চারটি ইউনিয়নের সব কয়টি চর ডুবে যায়। এতে তলিয়ে যায় আগাম জাতের শীতকালীন সবজি, আখ, কলাবাগান সহ অন্যান্যে ফসল। এক সপ্তাহের বন্যায় পুরো ১৮টি চরের সব ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
গত তিন দিন ধরে পদ্মার পানি কমে যাওয়ার কারনে বাড়ি-ঘরে ফিরতে শুরু করেছে বন্যার্তর্ মানুষরা। জেগে উঠা চরগুলো আবারো ফসল ফলানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।
কৃষি বিভাগের হিসাব মতে ১হাজার ৩০৮ হেক্টর ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এরমধ্যে সম্পূর্ন ক্ষতি হয়েছে ১২১ হেক্টর এবং আংশিক ক্ষতি হয়েছে ১হাজার ১৭৮ হেক্টর জমির ফসল। ক্ষতিগ্রস্থ ফসলের মধ্যে রয়েছে সবজি ৭৬ হেক্টর, কলা বাগান ১৬ হেক্টর, ফল বাগান ৪৫হেক্টর, আখ ১হাজার ১৪০ হেক্টর, মাসকালাই ডাল ২২ হেক্টর, তুলা ৭হেক্টর, হলুদ ৬হেক্টর, এবং ৯৫ হেক্টর জমির আমন ধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
এবিষয়ে লালপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম জানান, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর আমরা ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা তৈরী করেছি। তাছাড়া টাকার অংঙ্কে মোট ৬কোটি ১৩লাখ ৪৫হাজার টাকার ক্ষতি নিরুপন করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তর থেকে কোন বরাদ্দ আসলে কৃষকরা যাতে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারে সেজন্য তাদের সহযোগিতা করা হবে।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি বলেন,‘চরাঞ্চলের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ চাষীদের তালিকা কৃষি অফিসের মাধ্যমে করা হয়েছে। আমরা সরকারী সহযোগিতার চেষ্টা করছি। সরকারী যে কোন সহযোগিত পেলে চরাঞ্চলের চাষীদের মাঝে পৌঁছে দেওয়া হবে