যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বর্তমানে সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে কাকরাইলে তার অফিসে অভিযান চালাচ্ছে র্যাব।
ক্যাসিনো সম্রাটের তিনজন স্ত্রী রয়েছেন। এর মধ্যে একজন বিদেশি। সম্রাটের পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সম্রাটের পারিবারিক সূত্র জানা গেছে, সম্রাটের দুই স্ত্রী। প্রথম পক্ষের স্ত্রী বাড্ডায় থাকেন। প্রথম পক্ষে সম্রাটের এক মেয়ে। তিনি পড়াশোনা শেষ করেছেন। সম্রাটের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন চৌধুরী মহাখালীর ডিওএইচএসে থাকেন। তার এক ছেলে। তিনি মালয়েশিয়ায় এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।
সিঙ্গাপুরেও সম্রাটের বিদেশি একজন স্ত্রী আছে বলে পারিবারিক সূত্রটি জানায়। তবে ওই স্ত্রীর ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে সম্রাট মহাখালীতে দ্বিতীয় স্ত্রীর বাসাতেই স্থায়ীভাবে থাকতেন। তবে দুই বছর ধরে তিনি বাসায় যেতেন না। কাকরাইলে নিজের কার্যালয়ে থাকতেন।
সম্রাটরা তিন ভাই। ‘ক্যাসিনো সম্রাট’ রাজধানীর জুয়াড়িদের কাছে বেশ পরিচিত নাম। তার বাবা ফয়েজ আহমেদ ছিলেন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী। অনেক আগেই মারা গেছেন তিনি। মা বড় ভাইয়ের সঙ্গে ঢাকায় থাকেন। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের পর সম্রাটের পরিবারের সবাই গা ঢাকা দেন। সম্রাট থাকতেন মহাখালীর বাসায়।
দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সম্রাট সবার বড়। এক ভাই ছাত্রলীগের রাজনীতি করেন। আরেক ভাই সম্রাটের ক্যাসিনো ব্যবসা দেখাশোনা করতেন। সম্রাটের মা ভাইদের সঙ্গে ঢাকায় থাকতেন। সম্রাটদের গ্রামের বাড়ি ফেনীতে। বাড়ি পরশুরামে হলেও সেখানে তাদের পরিবারের কেউ থাকেন না।