কুড়িগ্রামের রাজারহাটে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর কোল জুড়ে জন্ম নিয়েছে এক নবজাতক। সেই নবজাতকের পিতৃত্বের পরিচয়ের জন্য প্রশাসনসহ স্থানীয় মাতাব্বরের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে স্কুলছাত্রী মমতা আক্তার (১৫)।
এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েক দফা শালিস বৈঠক হলেও এর কোনো সুরাহা পায়নি মমতা। পরে বাধ্য হয়ে ধর্ষিতার পিতা রাজারহাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলাও করেছেন।
প্রতারণার শিকার মমতা আক্তার জানান, উপজেলার রাজারহাট ইউনিয়নের হরিশ্বর তালুক দেউলার বিল গ্রামের কলিম উদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে সুমন মিয়া ওরফে সোনা মিয়া স্কুলে আসা যাওয়া করা কালে মমতাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এক পর্যায়ে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর মমতা আক্তারের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় সুমন। এর ফলে মমতা গর্ভবতী হয়ে পড়লে সে তার পরিবারকে বিষয়টি জানায়। মমতা বিষয়টি প্রেমিক সুমনকে জানিয়ে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। কিন্তু কৌশলে প্রতারক সুমন পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে সটকে পড়ে।
এদিকে প্রেমিকার পিতা মতিয়ার রহমান বিচারের জন্য স্থানীয় মাতব্বরদের শরণাপন্ন হয়। পরে স্থানীয়ভাবে কয়েক দফা শালিস বৈঠক হলেও এর কোনো সু-বিচার পায়নি ভূক্তভোগী। পরে বাধ্য হয়ে ধর্ষিতার পিতা রাজারহাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
তবে মামলাটি বিচারাধীন চলাকালীন সময়ে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মমতা একটি কন্যা সন্তান প্রসব করে। মমতা আক্তার তার গর্ভের সন্তানের পিতৃত্বের দাবি করে প্রশাসন ও এলাকার মাতব্বরদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। ঘটনার পর থেকেই প্রতারক প্রেমিক গাঁ ঢাকা দিয়েছে।
রাজারহাট থানার ওসি (তদন্ত) নজরুল ইসলাম বলেন, মামলার পর থেকে সুমন পলাতক রয়েছে। তবে তাকে গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।