গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি: সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা সদরের এ ওয়াহাব প্লাজা মার্কেটের ৩য় তলায় গৃহবধু রাশেদা আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে নিহত গৃহবধূর বাবা স্বামীকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন বলে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। নিহত গৃহবধু রাশেদা আক্তার (২৩) কে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন মর্মে অভিযোগ এনে নিহতের বাবা আশরাফ হোসেন স্বামী মুক্তার আহমদ কে আসামী করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি প্ররোচনা (মামলা নং-৩- তাং-০৪-১০-১৯) মামলা দায়ের করেন।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়, বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন ছোট বিষয় নিয়েই তাদের মাঝে প্রায়ই পারিবারিক কলহ লেগে থাকত। নিহতের স্বামী জোরপূর্বক প্ররোচনা দিয়ে রাশেদাকে বাধ্য করেছেন আত্মহত্যা করার জন্য। তবে পুলিশ এখনো আত্মহত্যা না হত্যা এর মূল রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। মুক্তার আলী ও রাশেদা বেগমের দাম্পত্য জীবনে দেড় বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) মিজানুর রহমান আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, টাঙ্গাইল জেলার দেলদোহার থানার অধিবাসী নিহতের বাবা আশরাফ হোসেন আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন তবে ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসলে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমরা অভিযুক্ত স্বামী মুক্তার আহমদকে গ্রেফতার করেছি। গতকাল শনিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার গোলাপগঞ্জ উপজেলা সদরের এ ওয়াহাব প্লাজা মার্কেটের ৩য় তলার একটি বাসা থেকে গৃহবধু রাশেদা আক্তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রাশেদা আক্তার স্বামী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানালেও পুলিশ রাশেদার নিথর দেহ বিছানায় গিয়ে পায়। পরে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে রাতেই ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাশেদার স্বামী গোলাপগঞ্জ পপুলা ডায়গনিস্টিক সেন্টারের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মুক্তার আলীকে থানায় নিয়ে আসেন।