ইয়ানূর রহমান : মাদ্রাসার এক শিশুকে মারধোর করার পর তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। স্বজনদের দাবি তাকে আটকে রেখে গোপনে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সকল আত্নীয়স্বজনের বাড়ি খুঁজে না পেয়ে তার মা শাহানাজ পারভীন সোমবার শার্শা থানায় একটি সাধারন ডায়রী করেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে যশোরের ঝিকরগাছার উলাকোল হাফিজিয়া মাদ্রাসায়। ওই শিশুর নাম আহসান হাবিব সাইমুম(১৪)। সে শার্শা উপজেলার বাগাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
ওই শিশুর পিতা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে সে বাড়িতে এসে দুপুরে আবার মাদ্রাসায় ফিরে যায়। মাদ্রাসার হুজুর সাইদুর রহমান তাকে না বলে বাড়িতে যাওয়ার অপরাধে বেদম মারপিট করে। এরপর শনিবার থেকে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা সকল আত্নীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজ নিয়েছি কিন্ত কোথাও পাইনি।
মাদ্রাসার হুজুর সাইদুর রহমান তাকে ‘না বলে বাড়িতে যাওয়ার অপরাধে’ মারার কথা স্বীকার করে বলেন, শনিবার আমরা যখন শুয়ে ছিলাম তখন সে পালিয়েছে। এর বাইরে মন্তব্য করতে তিনি রাজি হননি।
এদিকে একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে তার মা শাহানাজ পারভীন বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন। কান্নাজড়িত কন্ঠে তিনি বলেন,দেড় বছর আগে ছেলেকে কোরআনের হাফেজ বানানোর জন্য সেখানে রেখে আসি। মাদ্রাসায় ৬০টি বাচ্চা থাকে সেখান থেকে আমার বাচ্চাটি চলে গেল অথচ কেউ দেখতে পেলো না। এতেই আমার সন্দেহ হচ্ছে। হুজুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন তিনি#