মোঃ হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
বন্যা পরবর্তী শাক সবজির চাহিদা মেটানোর জন্য গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তার চরাঞ্চলে বস্তায় সবজি চাষ পদ্ধতি চালু করেছে কৃষকরা। উপজেলা কৃষি দপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পরামর্শে এবং বিভিন্ন এনজিও সংস্থার সার্বিক সহায়তায় বস্তায় সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েছে কৃষকরা। স্বরণকালের ভয়াবহ বন্যায় তিস্তার চরাঞ্চলসহ নিচু এলাকায় পানি দীর্ঘদিন জমে থাকায় মাটিতে সবজি চাষের উপযোগিতা নষ্ট হয়ে গেছে। ঠিক এই মহুর্তে শীতকালিন সবজি চাষাবাদের উপযুক্ত সময়। কিন্তু মাটিতে প্রচুর রস জমে থাকায় সবজি চাষাবাদ সম্ভব হচ্ছে না। সে কারণে বস্তায় এবং পলি ব্যাগে সবজি চাষাবাদ শুরু করেছে কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চরাঞ্চলে কমপক্ষে ৪০ জন কৃষক বস্তায় সবজি চাষাবাদ শুরু করেছে। কথা হয় তারাপুর ইউনিয়নের ভাটির চর গ্রামের কৃষক শরিফুল ইসলামর সাথে। বস্তা পদ্ধতিতে তিনি লাউ, কুমড়া, শিম, ঝিংঙা, শশা চাষ করছে এবং পলিব্যাগ পদ্ধতিতে মরিচ, বেগুন কপি চাষ করছে। তিনি বলেন সাধারণভাবে চাষাবাদের চেয়ে বস্তা ও পরিব্যাগ পদ্ধতিতে একটু খরচ বেশি হয়। তবে আগামী চাষাবাদে সবজির দাম বেশি পাওয়া যাবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ কৃষক শরিফুলের বস্তা পদ্ধতির সবজি চাষ পরিদর্শন করেছে। তিনি বলেন, এ পদ্ধতিতে সবজি চাষাবাদ করলে কৃষক অনেক লাভবান হবে। কারণ অসময়ে সবজি উৎপাদন করলে ভাল দাম পাওয়া যাবে।