বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: বিশ্বনাথে খাজাঞ্চী ইউনিয়নের কান্দিগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুশ্রেণির উপর একটি ঝুঁকিপূর্ণ পুরনো শিমুল গাছ থাকায় আতংকের মধ্যেই ক্লাস করতে হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। একইভাবে উদ্বিগ্ন রয়েছেন শিক্ষক ও অভিভাবকমহল। তারা বলছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে গাছটি কেটে ফেলা না হলে এর ডালপালা বা গাছই ভেঙ্গে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু, আইনগত বাধ্যবাধকতার কারণে চাইলেই গাছটি কেটে ফেলতে পারছে না বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেজন্যে তারা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।১৯৪৮ সালে ৩০ শতক জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত কান্দিগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় বিশ্বনাথ উপজেলার অন্যতম প্রাচীন প্রাথমিক বিদ্যালয়। বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬৮ জন। একটি দু’চালা পুরনো জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। এই ভবনের একেবারে পূর্বদিক লাগোয়া স্থানে একটি টিনবেষ্টিত কক্ষে পাঠ গ্রহণ করে ১৭জন শিশু শিক্ষার্থী। কক্ষটির গা ঘেষেই নড়বড়ে অবস্থায় দাড়িয়ে আছে বহুবছরের পুরনো এক শিমুল গাছ। গাছটি এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে যে, কখন ভেঙ্গে পড়ে শিশুশ্রেণির উপর-তাই নিয়ে যত আশংকা। এ থেকে দ্রুত পরিত্রাণ চায় বিদ্যালয়ে পাঠ নিতে আসা শিশুরা। পরিত্রাণ চান শিক্ষক ও অভিভাবকরাও।কয়েকজন শিশুশিক্ষার্থী জানান, এই কক্ষের ভেতরে ক্লাস করতে আমাদের ভয় করে। কখন গাছের ডালপালা ভেঙ্গে আমাদের উপর পড়ে, এই ভয় নিয়েই ক্লাস করতে হয়।কান্দিগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সঞ্জিত কুমার আচার্য্য সাংবাদিকদের বলেন, শিশুদের নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে যথাযথ নিয়মে গাছটি দ্রুত কেটে ফেলা দরকার। না হলে যেকোনো সময় অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে যাওয়ায় আশংকা রয়েছে।উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখব।