স্টাফ রিপোর্টারঃ অপহরণের ৮ দিন পার হলেও উদ্ধার হয়নি আতাইকুলা থানার শ্রীকোল গ্রামের আমির হামজা( ১৪)। পাবনা থানায় লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, আতাইকুল থানার শ্রীকোল গ্রামের প্রবাসী জামাল উদ্দিনের ছেলে আমির হামজা (১৪) গত ১৫ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩ টার দিকে খেলাধুলার কথা বলে বাড়ী থেকে বের হয়। পরবর্তীতে রাত ৯টা পর্যন্ত ছেলে বাড়ী ফিরে না অসায় আতœীয় স্বজনদের বাড়ীতে খোঁজ করা হয়। ছেলে আমির হামজার কোন খোঁজ না পেয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর ছেলের মা রেশমা খাতুন পাবনা থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করেন। যার নং- ১১২০। ছেলের খোঁজ করতে গিয়ে লোক মুখে জানা যায় ১৫ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪ টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার সিংগা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ হতে পাবনা সদর উপজেলার আরিফপুর দোহারপাড়া মহল্লার রবিউল ইসলামের ছেলে সাবিরুল ইসলাম ওরফে সাকিব (২০) এবং অজ্ঞাত ৬/৭ জন যুবক আমির হামজাকে ফুসলাইয়া অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে গিয়ে আটকিয়ে রেখেছে। ছেলের পাশাপাশি আসামী সাকিবের খোঁজ করতে থাকলে গত ২১ সেপ্টেম্বর বেলা ১১ টার দিকে আসামী সাকিব তার ব্যবহৃত মোবাইল নং ০১৭০৫-৩৫৬২৬৮ হতে অপহৃতার মা রেশমা খাতুন( ৩৮) এর কাছে ফোন করে বলে , ছেলেকে ফেরৎ পেতে ১ লক্ষ টাকা দিতে হবে। আরও বলে যে, বড় ভাই চাইলে আরও বেশি টাকা লাগবে। পুলিশকে জানালে ছেলেকে জীবীত পাওয়া যাবেনা। সাকিবের কথামত ১ লক্ষ টাকা যোগার করে ২১ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে আটটায় পাবনা থানা পুলিশের সহযোগিতায় রেশমা খাতুন পাবনা রেলস্টেশনে গেলে সাকিব সহ রাধানগর মাঠ পাড়ার ইন্তাজ আলীর ছেলে সাদ্দাম প্রাং (২১) , উত্তর শালগাড়ীয়ার হানিফ হোসেনের ছেলে আজিজুল হক (২০), উত্তর শালগাড়ীয়ার লালনের ছেলে মারুফ হোসেন(২০) কে একত্রে দেখতে পায়। সেখানে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীরা আমির হামজার অপহরণের কথা স্বীকার করলেও আমির হামজাকে ফেরৎ না দিয়ে বিভিন্ন ভাবে তালবাহানা করে। এ ঘটনায় পাবনা থানায় ৩৬৫/৩৮৫/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০ ধারায় অপহৃত আমির হামজার মা রেশমা খাতুন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে।