রাশেদ রাজন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুই ছাত্রীসহ ৪জন শিক্ষার্থীকে পিটিয়েছে স্থানীয় আ্ওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। রোববার রাত ১১টার দিকে বিনোদপুর বাজারে এই ঘটনা ঘটেছে। এবিষয়ে ক্যাম্পাসলাইভ ২৪ ডটকম এর রাবি প্রতিবেদক ভুক্তভোগীদেরকে স্থানীয় কয়েকজন বখাটের ছবি দেখালে হামলাকারীদের সনাক্ত করেন তারা।
হামলা ও উত্ত্যক্তকারীরা হলেন, স্থানীয় ৩০ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম শহীদের ছোট ভাই রবি (রবি রাবি মেডিকেলের গার্ড) ও খলিল, খলিলের ছেলে শান্ত, মালেকারা মোড়ের সিরাজুল, উষা, শিপন, জনি সহ ১৫-২০জন।
ভুক্তভোগীরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) বিভাগের প্রথম বর্ষের দুই ছাত্রী ও ছাত্র শোভন এবং প্রতিবাদ করতে আসা লোক প্রশাসন বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষর্থী নাইমুল ইসলাম নাঈম।
ভুক্তভোগীরা বলেন, বিনোদপুর বাজারে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের রেলিংয়ের ওপর আমরা ঢাকার বাসের অপেক্ষায় বসে ছিলাম। এমন সময় হঠাৎ স্থানীয় অপরিচিত কয়েকজন এসে আমাদের উত্ত্যক্ত করে। প্রথমে শোভন বাধা দিলে তাকে মারধর শুরু করে এবং আমাদেরকেউ (দুই ছাত্রী) সেন্ডেল দিয়ে পিটাতে থাকে এসময় লোক প্রশাসন বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী নাঈম এসে বাধা দিলে তার উপরও চড়াও হয় বখাটেরা।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, এঘটনায় রোববার রাতে শিহাব আল কুরাইশ (২০) নামের এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। রবি ও খলিল, খলিলের ছেলে শান্ত, মালেকারা মোড়ের সিরাজুল, উষা, শিপন, জনি সহ অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনকে আসামী করে নারী নির্যাতন ও হামলার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। মামলা নং ৫০।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, রাস্তার রেলিংয়ের পাশে ছেলেমেয়ে কয়েকজন সেলফি তুলছিল এসময় সেলফি তোলাকে অসামাজিক কার্যকলাপ আখ্যা দিয়ে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে স্থানীয় কয়েকজন যুবক। উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করতে গেলে শোভনকে স্টেম্প ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে শুরু করে। পুলিশ আসলে তারা পালিয়ে যায়।
রাবি প্রক্টর প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান বলেন, মতিহার থানায় মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশের সাথে কথা বলেছি। প্রধান আসামী একজন মেয়েসহ তিনজনকে পুলিশ ধরেছে।