মৌলভীবাজারে একটি পরিবারকে হয়রানী

মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ মৌলভীবাজারে মাতারকাপন এলাকায় একটি পরিবারকে দীর্ঘদিন যাবৎ হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে পরিবারটি ভয়ে গ্রাম ছাড়া। ভুক্তভোগী মায়া রাণী মজুমদার অসহায় পরিবারটির পক্ষে আইনানুগ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়ে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। ভুক্তভোগী ও লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে- একই এালাকার কাসেম মিয়া, আকবর মিয়া, আলমগীর মিয়াগংরা মিলে দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের পরিবারকে নানাভাবে হয়রানী করে আসছেন। পরিবারটিকে স্থায়ীভাবে ভারতে চলে যাবার জন্য একাধিকবার হুমকি দিচ্ছেন। কাসেম মিয়াগংদের সাথে আদালতে একাধিক মামলা, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল মামলা নং- ৩০৪/১০ইং, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল মামলা নং- ২০৯/১০ইং, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল মামলা নং- ২১৩/১০ইং বিচারাধীন রয়েছে। উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আমাদের দায়েরকৃত মামলার যতায়ত সত্যতা পাওয়ায় তদন্ত প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে দায়ের করেছেন। উক্ত মামলায় তাদের কারাদন্ড অথবা কঠোর শাস্তি হতে পারে এমন আশংকায় আমাদের বিরোদ্ধে পুনরায় ষড়যন্ত চালাচ্ছেন। সর্বশেষ পূর্ব শক্রতার জের ধরে পরিকল্পিত ভাবে আমাদের পরিবারের লোকজনদের একটি ল্যাপটপ চুরির মামলা (নং- ০৫, তারিখ ঃ -০৩/০৯/২০১৯ইং) দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। ঐ মামলায় আমরা বর্তমানে জামিন প্রাপ্ত হওয়া সত্বেও আমরা তাদের ভয়ে বাড়ী-ঘরে যাইতে পারছিনা। ভুক্তভোগী অজিত মজুমদার, সিতি রাণী মালাকার, জয়ন্তি মালাকার, সিপা মালাকার, ববিতা মালাকার, খোকন মালাকার, স্বপ্না মালাকার, স্বপ্না রাণী মালাকার(২)সহ পরিবারের অন্যান্য লোকজন, মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার, সাংবাদিকসহ সকলের সহযোগীতা কামনা করে বলেন- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের আস্থার প্রতীক। উন্নয়নের রোল মডেল। বর্তমান সরকারের আমলে এমন ঔদ্বৈত্যপূর্ণ আচরন কারোরই কাম্য নয়। আমরা আমৃত্যু পর্যন্ত বাংলাদেশে থাকতে চাই।