নাটোরপ্র তিনিধি:
নাটোরের বড়াইগ্রামের গড়মাটি মধ্য পাড়া গ্রামে বাড়ি কৃষক রইচউদ্দিন সেখে। একমাত্র ছেলে জহুরুল ইসলামকে নিয়ে তার স্বপ্ন ছিলো আকাশ ছোঁয়া। তাই এসএসসি পাশ করার পর ভর্তি করিয়ে দেন বাগাতিপাড়া উপজেলার কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পরিচালিত স্যাপার কলেজে। সেখানে মেসে থেকেই পড়াশুনা করতো সে। আরও দুইটি বোন আছে তার। দরিদ্র পিতা অনেক কষ্ট করে টাকা দিতো তাকে। পরিবারের কথা বিবেচনা করে বাড়ির নিকটবর্তী রাজাপুর ডিগ্রি কলেজে ট্রান্সফার নিয়ে ভর্তি হতে চেয়েছিলো সে। যার কারণে স্যাপার কলেজে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট (টিসি) চেয়ে আবেদন করে জহুরুল। কিন্ত যথাসময়ে টিসি না পাওয়ায় রাগে অভিমানে শুক্রবার ভোরে সে গলায় ওড়না লাগিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করে। জহুরুল ইসলাম (১৮) স্যাপার কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলো।
জহুরুলের পিতা রইচউদ্দিন জানান, তার ছেলেটি যখন টিসি হাতে পেলো তখন কোন লাভ হয়নি। রাজাপুর কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে জহুরুলকে নতুন করে ভর্তি হতে হবে। এতে জহুরুলের মনের ভিতর রাগ ও ক্ষোভের সঞ্চার হয় এবং সে আত্নহত্যা করে।
বড়াইগ্রাম থানার ডিউটি অফিসার এসআই সানোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে ও লাশ ময়না তদন্তের জন্য নাটোর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।