ইয়ানূর রহমান : শার্শায় এক আসামির স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে পুলিশের এসআইয়ের বিরুদ্ধে। উপজেলার লক্ষ্মণপুর গ্রামে সোমবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার দুপুরে ওই গৃহবধূ যশোর জেনারেল হাসপাতালে এসে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন। পরে কোতয়ালি থানার ওসি মনিরুজ্জামান ভুক্তভোগীকে নিয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যান।
স্থানীয় সূত্র এবং ভুক্তভোগী জানান, শার্শার লক্ষণপুর গ্রামের ওই আসামিকে গত ২৫ আগস্ট রাতে শার্শার গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই খায়রুল তুলে নিয়ে আসেন। পরদিন তার কাছ থেকে ৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার দেখিয়ে তাকে আদালতে চালান দেন।
সোমবার রাত ২টার দিকে এসআই খায়রুল, চটকাপোতা গ্রামের কামারুল, লক্ষণপুর গ্রামের লতিফ ও কাদেরকে নিয়ে ওই আসামির বাড়িতে যান এবং তার স্ত্রীকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। স্বামীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এসআই খায়রুল ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে খায়রুল ও কামারুল ঘরে ঢুকে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন। এসময় লতিফ ও কাদের ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বিষয়টি কাউকে জানালে তাকেও মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন গৃহবধূ।
মঙ্গলবার দুপুরে পরিচিত এক যুবককে সঙ্গে নিয়ে ওই গৃহবধূ যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের অফিসে যান এবং সাংবাদিকদের কাছে তিনি ধর্ষণের অভিযোগ তুলে ধরেন।
এসময় যশোর কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে যান এবং হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে ওই নারীকে পুলিশ সুপার মঈনুল হকের অফিসে নিয়ে যান।
এসময় ওসি মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি তিনি শুনে এসেছেন। ভিকটিমকে নিয়ে এসপি অফিসে যাচ্ছেন। এর বাইরে কোনো কিছু বলা বলতে রাজি হননি।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরিফ আহম্মেদ জানান, ভুক্তভোগী নারী হাসপাতালে এলে তার ডাক্তারি পরীক্ষা করা সম্পন্ন হবে।
যশোরের পুলিশ সুপার মঈনুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি ভিকটিমের অভিযোগ শুনেছি৷ অভিযোগ আমলে নিয়ে ঘটনা তদন্তের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ৷ ঘটনা সত্য হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷