সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
স্কুলে অনুপস্থিত থাকার প্রতিবাদ করায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশের সরাপপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে সরাতে স্কুলের চার সহকারী শিক্ষক নানা ষড়যন্ত্র করেছে। বিভিন্ন সময় ষড়যন্ত্র করে সফল না হয়ে সবশেষ স্কুলের দুই শিক্ষিকাকে দিয়ে ৫৫ বছর বয়সী প্রধান শিক্ষক ভবেশ চন্দ্র রায় দুই শিক্ষিকাকে শ্লীতাহানি করেছে বলে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এনিয়ে উপজেলা শিক্ষক সমিতি-ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকসহ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র নিন্দার ঝড় ওঠেছে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলার তিনজন সহকারী শিক্ষা অফিসারের সমন্বয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে তদন্ত কমিটি সরেজমিনে না গিয়ে আজ উপজেলা সদরে বাদী-বিবাদী ও স্বাক্ষীদের নিয়ে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন। এ নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
প্রধান শিক্ষক ভবেস চন্দ্র রায় জানান,স্কুলের দুই সহকারী শিক্ষক শাহজাহান আলী ও জহুরুল ইসলাম, শ্যামলী বালা ও শাহানা স্কুলে প্রায় সময় স্কুলে অনুপস্থিত থাকলেও হাজিরা খাতায় উপস্থিত স্বাক্ষর করেন। আবার শাহজাহান ও জহুরুল ইসলাম টিফিনের পর স্কুলে আসেন না। এমনকি স্কুল উন্নয়নের বরাদ্দের টাকার ভাগ-বাটোয়ারারা করে নেয়ার প্রস্তাব দেয়। বিষয়গুলো প্রতিবাদ করায় চারজন মিলে আমাকে বদলি করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করতে থাকে। সবশেষ স্কুলের দুই শিক্ষিকাকে দিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এনিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিস তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তিনি আরো জানান, ওই দুই শিক্ষিকার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে-আপনি সংখ্যালঘু। তাই আপনাকে শাহজাহান, জহুরুল ও শাহানা প্রধান শিক্ষক হিসেবে মেনে নিতে পারছে না। তাই আপনি স্কুল থেকে বদলি হয়ে যান। তাহলে আমরা অভিযোগ তুলে নিবো। কিন্তু তাদের কথায় রাজি না হওয়ায় আমাকে হত্যার হুমকিও দেয়া হচ্ছে।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হায়দার আলী জানান, বিষয়টি নিয়ে আমরা স্থানীয় এমপির পরামর্শে গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অনেকবার বৈঠক বসেছি। মিমাংসার চেষ্টা করেছি। কিন্তু বাদীপক্ষ কোন কিছুতেই সন্তুষ্ট নয়। তারা বলছে, উপজেলা শিক্ষা অফিস যা করবে আমরা তাই মেনে নিবো। তবে আমার যেটা মনে হয়েছে ভবেশ চন্দ্র রায়কে ফাঁসাতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
সরাপপুর গ্রামের বাসিন্দা ও বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের জেলার সাধারন সম্পাদক রতনেশ^র সিং জানান, আমি জোর দিয়ে বলতে পারি ভবেশ রায় এরকম নোংরা ঘটনার সাথে জড়িত নয়। একজন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে মেনে নিতে পারছে না, এমনকি স্কুলে কোন অনিয়ম করতে পারছে না সেই জন্য ভবেশ রায়কে অন্যত্র সরিয়ে দেয়ার জন্য সহকারী শিক্ষকরা মিলে ষড়যন্ত্র করছে। তিনি জানান, শ্যামলী বালার বাড়ী স্কুলের সাথে। কোন ঘটনা ঘটলে নিশ্চয় তার বাবা-মা বা স্বজনসহ আমাদেরকে বলতো। কিন্তু তা না করে ঘটনার প্রায় এক-দেড়মাস পর অভিযোগ দিয়েছে। এলাকাবাসী হিসেবে মিমাংসা বৈঠক করে যা জানতে পেরেছি তাহলো- শাহজাহান, জহুরুল ও শাহানা ষড়যন্ত্র করে শ্যামলী বালাকে ষড়যন্ত্রের অংশীদার করে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে-যাতে ভবেশ রায় অন্যত্র বদলী হয়ে যায় আর শাহজাহান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হতে পারে। সংখ্যালঘু প্রধান শিক্ষকে যৌন নির্যাতনের অপবাদ দিয়ে ফাঁসানের চেষ্টাসিরাজগঞ্জ
স্কুলে অনুপস্থিত থাকার প্রতিবাদ করায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশের সরাপপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে সরাতে স্কুলের চার সহকারী শিক্ষক নানা ষড়যন্ত্র করেছে। বিভিন্ন সময় ষড়যন্ত্র করে সফল না হয়ে সবশেষ স্কুলের দুই শিক্ষিকাকে দিয়ে ৫৫ বছর বয়সী প্রধান শিক্ষক ভবেশ চন্দ্র রায় দুই শিক্ষিকাকে শ্লীতাহানি করেছে বলে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এনিয়ে উপজেলা শিক্ষক সমিতি-ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকসহ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র নিন্দার ঝড় ওঠেছে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলার তিনজন সহকারী শিক্ষা অফিসারের সমন্বয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে তদন্ত কমিটি সরেজমিনে না গিয়ে আজ উপজেলা সদরে বাদী-বিবাদী ও স্বাক্ষীদের নিয়ে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন। এ নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
প্রধান শিক্ষক ভবেস চন্দ্র রায় জানান,স্কুলের দুই সহকারী শিক্ষক শাহজাহান আলী ও জহুরুল ইসলাম, শ্যামলী বালা ও শাহানা স্কুলে প্রায় সময় স্কুলে অনুপস্থিত থাকলেও হাজিরা খাতায় উপস্থিত স্বাক্ষর করেন। আবার শাহজাহান ও জহুরুল ইসলাম টিফিনের পর স্কুলে আসেন না। এমনকি স্কুল উন্নয়নের বরাদ্দের টাকার ভাগ-বাটোয়ারারা করে নেয়ার প্রস্তাব দেয়। বিষয়গুলো প্রতিবাদ করায় চারজন মিলে আমাকে বদলি করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করতে থাকে। সবশেষ স্কুলের দুই শিক্ষিকাকে দিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এনিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিস তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তিনি আরো জানান, ওই দুই শিক্ষিকার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে-আপনি সংখ্যালঘু। তাই আপনাকে শাহজাহান, জহুরুল ও শাহানা প্রধান শিক্ষক হিসেবে মেনে নিতে পারছে না। তাই আপনি স্কুল থেকে বদলি হয়ে যান। তাহলে আমরা অভিযোগ তুলে নিবো। কিন্তু তাদের কথায় রাজি না হওয়ায় আমাকে হত্যার হুমকিও দেয়া হচ্ছে।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হায়দার আলী জানান, বিষয়টি নিয়ে আমরা স্থানীয় এমপির পরামর্শে গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অনেকবার বৈঠক বসেছি। মিমাংসার চেষ্টা করেছি। কিন্তু বাদীপক্ষ কোন কিছুতেই সন্তুষ্ট নয়। তারা বলছে, উপজেলা শিক্ষা অফিস যা করবে আমরা তাই মেনে নিবো। তবে আমার যেটা মনে হয়েছে ভবেশ চন্দ্র রায়কে ফাঁসাতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
সরাপপুর গ্রামের বাসিন্দা ও বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের জেলার সাধারন সম্পাদক রতনেশ^র সিং জানান, আমি জোর দিয়ে বলতে পারি ভবেশ রায় এরকম নোংরা ঘটনার সাথে জড়িত নয়। একজন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে মেনে নিতে পারছে না, এমনকি স্কুলে কোন অনিয়ম করতে পারছে না সেই জন্য ভবেশ রায়কে অন্যত্র সরিয়ে দেয়ার জন্য সহকারী শিক্ষকরা মিলে ষড়যন্ত্র করছে। তিনি জানান, শ্যামলী বালার বাড়ী স্কুলের সাথে। কোন ঘটনা ঘটলে নিশ্চয় তার বাবা-মা বা স্বজনসহ আমাদেরকে বলতো। কিন্তু তা না করে ঘটনার প্রায় এক-দেড়মাস পর অভিযোগ দিয়েছে। এলাকাবাসী হিসেবে মিমাংসা বৈঠক করে যা জানতে পেরেছি তাহলো- শাহজাহান, জহুরুল ও শাহানা ষড়যন্ত্র করে শ্যামলী বালাকে ষড়যন্ত্রের অংশীদার করে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে-যাতে ভবেশ রায় অন্যত্র বদলী হয়ে যায় আর শাহজাহান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হতে পারে।
এবিষয়ে সহকারী শিক্ষিকা শ্যামলী বালা জানান, অফিস কক্ষে গেলে আমাকে প্রধান শিক্ষক আমাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছে। তাই আমরা অন্যান্য শিক্ষকের সাথে পরামর্শ করে অভিযোগ দিয়েছি। তবে দরখাস্তে দিন তারিখ উল্লেখ না করায় কবে কখন কুপ্রস্তাব দিয়েছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন,আমার দিন তারিখ সময় কিছুই মনে নাই। সহকারী শিক্ষক শাহজাহান আলীর সাথে কথা যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি যৌন হয়রানির বিষয়ে কোন কথা বলতে পারব না। তিনি স্কুলে উপস্থিত থাকেন না-প্রধান শিক্ষক প্রতিবাদ করায় ষড়যন্ত্র করছেন এমন প্রশ্ন শুনেই মুঠোফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার হাফিজুর রহমান জানান, আজ দুই পক্ষকেই স্বাক্ষী নিয়ে উপজেলায় হাজির হতে বলা হয়েছে। তবে নিরাপত্তাহীনতার কারণে তদন্ত কমিটি স্কুল যেতে পারছে না বলে তিনি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) জানান, কেন তদন্ত কমিটি স্কুলে না গিয়ে অফিসে তদন্ত করছে সে বিষয়ে আমার জানা নেই।