রাজনগরে তারাপাশা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল

মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্টিত হয়েছে তারাপাশা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ মাঠে আজ ১৫ আগষ্ট দুপুরে। তারাপাশা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ এর গভণিং বডি সভাপতি ও অলিলা গ্র“পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিশিষ্ট শিল্পপতি মোহাম্মদ জিল¬ুর রহমান এর সভাপতিত্বে ও তারাপাশা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম খান ও এডভোকেট পার্থ সারথী পাল এর যৌত সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- সংরক্ষিত আসন-৩৬, সংসদ সদস্য সৈয়দা জহুরা আলাউদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- জেলা যুবলীগের সভাপতি নাহিদ আহমদ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম চৌধুরী আমিন, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম, রাজনগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ময়নুল ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ফৌজি। বক্তব্য রাখেন- তারাপাশা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ এর সিনিয়র শিক্ষক সৈয়দ শওকতুজ্জামান, অলিলা গ্র“পের পরিচালক ও ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমান, আতাউর রহমান, আলাউর রহমান, রাজনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল¬াহ আল সাম্মু, জেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক কামরান হাসান সোহান, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রাহি খান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কায়েস আহমদ ও জমির আলী প্রমুখ। বক্তারা বলেন- স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বিশ্বনেতা। বাঙালির ইতিহাসে হৃদয়বিদারক ও মর্মান্তিক শোকাবহ ১৫ আগস্ট। শাহাদাত বার্ষিকীতে চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকারী এইসব নরপশুদের হত্যাকান্ড ইতিহাসের যে কোন বর্বর হত্যাকান্ডকে হার মানায়। ১৫ আগস্ট ’৭৫ শুধু একজন বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি ঘৃণ্য পশুরা- তারা একে একে হত্যা করেছে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশুপুত্র শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামালকে। জঘন্যতম এ হত্যাকান্ড থেকে রক্ষা পাননি বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগ্নে যুবনেতা ও সাংবাদিক শেখ ফজলুল হক মণি, বেগম আরজু মণি, কর্নেল জামিলসহ ১৬ জন। বিদেশে থাকার কারণে এ হত্যাকান্ড থেকে ভাগ্যক্রমে রক্ষা পেয়ে যান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।