ভাঙ্গুড়ায় শোক দিবসে উপজেলা আ. লীগের কাঙ্গালি ভোজ এর পরিবর্তে মিষ্টি বিতরণ

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে পাবনার ভাঙ্গুড়ায় নানা কর্মসূচি পালন করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন। বৃহস্পতিবার উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে দিনব্যাপী এসব কর্মসূচি পালন করা হয়। তবে এবারের শোক দিবসের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে কাঙ্গালি ভোজ এর পরিবর্তে নেতাকর্মীদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। এনিয়ে সাধারণ মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ সময় অনেক নেতাকর্মী সভাস্থল ত্যাগও করেন।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার দলীয় কার্যালয়ের সামনে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে একটি বিশাল শোক র‌্যালী দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। সেখানে বঙ্গবন্ধুর জীবনের উপরে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনা-৩ আসনের (চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর) সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মকবুল হোসেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লোকমান হোসেন। আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জাকির হোসেন ছবি, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রহমান প্রধান, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য আসলাম আলী, ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাসনাইন রাসেল সহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান শেষে দুপুরে সেখানে উপস্থিত শতাধিক নেতাকর্মীর মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। শোক দিবসে কাঙালী ভোজের আয়োজন না করে মিষ্টি বিতরণ করায় এ সময় দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হলে অনেকে সভাস্থল ত্যাগ করেন।

ভাঙ্গুড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, জাতির পিতাকে হারানোর দিনে দলীয় নেতাকর্মীর মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা খুবই হৃদয় বিদারক। বিষয়টি তিনি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না।

পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদ বলেন, যে কোনো শোক দিবসে কাঙ্গালি ভোজের আযয়োজন করে দোয়া অনুষ্ঠান করে রুহের মাগফেরাত কামনা করা যায়। কিন্তু মিষ্টি বিতরণ করা খুবই বেমানান লাগে। শোক দিবসে মিষ্টি বিতরণ করে উপজেলা আওয়ামী লীগ মোটেও সঠিক কাজ করেনি। এতে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

শোক দিবসে মিষ্টি বিতরণের বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি লোকমান হোসেন বলেন, শোক দিবসের আলোচনা শেষে দুপুরে এক হাজার লোকের কাঙালী ভোজের আয়োজন করার কথা ছিল। কিন্তু আবহাওয়া খারাপের কারনে কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। এতে বাধ্য