ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা সমাজসেবা অফিসের মাঠকর্মী মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে একজন বৃদ্ধের বয়স্ক ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধ মাজেদ মন্ডল উপজেলার বেতুয়ান গ্রামের মৃত খবির মন্ডলের ছেলে। এ ঘটনায় মাজেদ মন্ডল ও সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য সাহেব আলী ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, বেতুয়ান গ্রামের ইউপি সদস্য সাহেব আলী গত এক বছর আগে মাজেদ মন্ডলকে একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেন। তখন একই গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসের মাঠকর্মী মতিউর রহমান মাজেদ মন্ডলের ভাতার ব্যাংক হিসাবের বই নিজের কাছে রেখে দেন। এরপর গত মার্চ মাসে ৯ মাসের ভাতার টাকা উত্তোলনের সময় হয়। তখন মতিউর রহমানের কাছে মাজেদ মন্ডল বই নিতে গেলে সে তার কাছে পনেরশো টাকা দাবি করে। কিন্তু মাজেদ মন্ডল টাকা দিতে না চাইলে তার ভাতার কার্ড বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয় মতিউর।
তখন নিরুপায় হয়ে টাকা উত্তোলনের পরে তার চাহিদা মতো টাকা দেয়া হবে শর্তে মাজেদ মন্ডলকে হিসাবের বই ফেরত দেয় মতিউর। পরে মাজেদ মন্ডলের সাথে
ব্যাংকে গিয়ে ৪ হাজার ৫’শ টাকা উত্তোলন করে পনেরশো টাকা নিয়ে নেয় মতিউর।
এরপর গত জুলাই মাসে আবারো মাজেদ মন্ডলের হিসাবে পনেরশো টাকা জমা হয়। কিন্তু মতিউর রহমান অন্য একটি বয়স্ক ভাতার হিসাবের তিন হাজার টাকা মাজেদ মন্ডলের হিসাবে জমা করেন। পরে ২৮/০৭/১৯ইং তারিখে মাজেদ মন্ডলকে দিয়ে মোট ৪ হাজার ৫’শ টাকা উত্তোলন করিয়ে তিন হাজার টাকা মতিউর রহমান নিয়ে নেন। এ নিয়ে মাজেদ মন্ডল প্রতিবাদ করলে আবারও তার ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয় মতিউর রহমান। পরে গত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে মাজেদ মন্ডল ও সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগের ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা অফিসের মাঠকর্মী মতিউর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। সব কিছু স্যার (সমাজসেবা কর্মকর্তা) জানে।
এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, তার অফিসের একজন মাঠকর্মী মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
অভিযোগ প্রাপ্তির ষিয়টি স্বীকার করে ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুজ্জামান জানান, অভিযোগ তদন্ত করতে সমাজসেবা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হলে মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।