তৃণমূলে পর্যায়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত করে রমরমা কোচিং বাণিজ্যে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা ইউনিয়নের এফপিআই মো: জাহিদুল ইসলাম নলকা ইউনিয়নের জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত করে এরান্দহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি ক্লাশরুমে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত ৪টি ব্যাচে প্রায় স্থানীয় শতাধিক ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে কোচিং বাণিজ্য করছেন। প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে ৪’শ থেকে ৫’শ টাকা টিউশন ফি নিয়ে কোচিং করাচ্ছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এফপিআই জাহিদুল ইসলাম নলকা ইউনিয়নে এফডাব্লিউএ, কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন না করে তৃণমূল পর্যায়ে জনগণকে স্বাস্থ্য সেবা না দিয়ে কোচিং নিয়ে ব্যস্ত থাকে। জাহিদুল ইসলাম একদিকে যেমন সরকারি বেতন ভাতা উত্তোলন করছে অন্যদিকে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত করছে নলকা ইউনিয়নবাসীকে।
রায়গঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, কোচিং বাণিজ্য বর্তমানে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। রায়গঞ্জ উপজেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষকই বর্তমানে কোচিং বাণিজ্য বা টিউশনি করছে না। এরান্দহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যদি কেউ কোচিং বাণিজ্য করে থাকে তবে তা অবশ্যই বন্ধ করব।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা ২০১২ এর উপজেলা কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এসএম সাহাদত হোসেন বলেন, এরান্দহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোচিং বাণিজ্য হচ্ছে বিষয়টি আমার জানা নেই। প্রয়োজন সাপেক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নিয়ে কোচিং বাণিজ্য বন্ধে ভ্রাম্যমান দেবে।