ব্যাটিংয়ের শুরু থেকেই বাংলাদেশি বোলারদের সামনে ধুঁকছিল ভারতীয় ব্যাটাররা। বিশেষ করে হাসান মাহমুদ তোপে নাকানিচুবানি খেতে হয়েছে ভারতীয় তারকা ব্যাটারদের। তবে এর ব্যতিক্রম ছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল। এই তরুণ বাংলাদেশি বোলাদের সতর্ক দৃষ্টিতে খেলে স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে আদায় করে নিয়েছিলেন ফিফটি। তবে এরপর তাকে থামিয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ পেসার নাহিদ রানা।
দিনের সবচেয়ে বড় শিকারটা করেছেন বাংলাদেশের সবচেয়ে দ্রুত গতির এই পেসার। নাহিদের গতির কাছে পরাস্ত হয়ে সাদমান ইসলামের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ফিফটি করা জয়সওয়াল। এই ব্যাটার সাজঘরে ফেরার আগে ১১৮ বলে ৫৬ রান করেন। ১৪৪ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় ভারত।
খানিক পর উইকেট তুলে নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। লোকেশ রাহুলকে ১৬ রানে সাজঘরে ফেরান মিরাজ। ১৪৪ রানে ষষ্ঠ উইকেটের পতন হয় ভারতের।
এদিন টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলেই রোহিতকে সাজঘরের পথ ধরান হাসান মাহমুদ। দারুণ এক ডেলিভারিতে ভারতীয় অধিনায়ককে পরাস্ত করেন তিনি। ১৯ বলে ৬ রান করেন রোহিত। ১৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত।
পরের ওভারে এসে সাজঘরের পথ ধরান শুভমান গিলকে। ৮ বলে শূন্য রান করে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় গিলকে। খানিক পর বিরাট কোহলিকেও নিজের শিকারে পরিণত করেন হাসান। হাসানের বল বুঝতে না পেরে ৬ রানে উইকেটের পেছনে লিটনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন সময়ের তারকা ব্যাটার কোহলি। তাতে ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বড়সড় ধাক্কা খায় ভারত। এরপর আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ৮৮ রানে প্রথম সেশন শেষ করে ভারত।