তুরস্কের বিমান হামলা উত্তর ইরাকে পিকেকে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত ২৪টি লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করেছে বলে জানিয়েছে দেশটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
বুধবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর ডেইলি সাবাহার।
এতে বলা হয়েছে, বিমান অভিযানটি ইরাকের পার্বত্য হাকুরক, গারা, কান্দিল এবং তুর্কি সীমান্তের কাছে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি, আশ্রয়কেন্দ্র ও ডিপোকে লক্ষ্যবস্তু হিসেবে নিয়েছিল। পিকেকে তুর্কি সীমান্তের কাছে উত্তর ইরাককে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনার আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করে এবং প্রায়ই তুর্কি ও উত্তর সিরিয়ার স্থানীয়দের ওপর আক্রমণ চালায়।
কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকার (কেআরজি) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত উত্তর ইরাকে পিকেকের উপস্থিতি দৃঢ়, যেখানে কেন্দ্রীয় ইরাকি সরকারের প্রভাব সীমিত।
তুর্কি অভিযানগুলো পিকেকের অভ্যন্তরীণ উপস্থিতিকে প্রায় বিলুপ্তির দিকে নিয়ে গেছে, ফলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি তাদের অপারেশনগুলোর একটি বড় অংশ উত্তর ইরাকে স্থানান্তরিত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে মাউন্ট কান্দিল অঞ্চলের একটি শক্তিশালী ঘাঁটি, যা ইরবিল থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত।
গত ২৫ বছরে তুর্কি সরকার উত্তর ইরাকে পিকেকের বিরুদ্ধে কয়েক ডজন সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছে। ২০২২ সাল থেকে সন্ত্রাসীদের আস্তানা ধ্বংস এবং সন্ত্রাসী করিডোর নির্মাণ রোধে ‘ক্লো’ অপারেশনের অংশ হিসেবে বিমান হামলা চালাচ্ছে।
তুর্কির ক্রসবর্ডার অপারেশনগুলো বছরের পর বছর ধরে উত্তেজনার কারণ হয়েছে। আঙ্কারা ইরাকের কাছে পিকেকে মোকাবিলায় সহযোগিতা চাইছে এবং বাগদাদ মার্চ মাসে এই গোষ্ঠীটিকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
প্রায় ৪০ বছরের সন্ত্রাসী অভিযানে থাকা পিকেকে—যা তুর্কি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বারা গঠিত একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত। সংগঠনটি নারী এবং শিশুসহ ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী।