বর্তমানে ডেঙ্গু আতঙ্কে ভুগছে দেশবাসী। রাজধানীতে মহামারী রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু। পাশাপাশি তা ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন জেলাগুলোতেও।ডেঙ্গু জ্বর থেকে বাঁচতে হলে প্রথমে এডিস মশার প্রজনন ক্ষমতা ধ্বংস করতে হবে।
ডেঙ্গু মশাবাহিত রোগ। আপনাকে মশা না কামড়ালে আপনার ডেঙ্গু হবে না। সুতরাং সোজা কথা মশা মুক্ত থাকতে হবে, মশা মুক্ত রাখতে হবে।
ইতিমধ্যে দেশে ডেঙ্গুর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে একে উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
ডেঙ্গুর এই অনিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতিকে ভয়াবহ হিসেবে উল্লেখ করে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বর্তমানে যে অবস্থা বিরাজ করছে সেটিকে পুরোপুরি মহামারী বলা না হলেও এর দ্বারপ্রান্তে অবস্থান করছে। যেকোনো রোগ হওয়ার আগে তা প্রতিরোধ করতে হবে। কারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আগে রোগ প্রতিরোধ ভালো।
এমন মুহূর্তে ডেঙ্গুজ্বরের ভাইরাস বহনকারী মশা তাড়ানোর ওষুধ বানানোর নিয়ম জানিয়েছেন ফ্রান্সে বসবাসরত বাংলাদেশি লেখক ও গবেষক রবিশঙ্কর মৈত্রী।
১৯ জুলাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মশা তাড়ানোর এই ওষুধ তৈরি পদ্ধতির কথা জানান তিনি।
আসুন জেনে নেই কীভাবে ঘরেই তৈরি করবেন মশা তাড়ানোর ক্রিম।
মশা তাড়ানোর ক্রিম যেভাবে তৈরি করবেন:
ছোট্ট একটি কৌটা বা কাচের বয়াম নিন। একটি মোমবাতি থেকে দুইশ গ্রাম মোম গুঁড়ো করে নিয়ে কৌটায় রাখুন।
এবার ৩০ মিলি নিম তেল এবং ৩০ মিলি গ্লিসারিন মিশিয়ে নিন। সঙ্গে ৫০ মিলি পানিও পাত্রে ঢেলে দিন। একটি গামলায় ১ লিটার পানি ১০ মিনিট ধরে গরম করুন।
গরম পানিতে নিম তেল, মোম ও পানিভর্তি পাত্রটি বসিয়ে রাখুন। লক্ষ্য করুন, পাত্রের মধ্যে মোম গলছে কি-না। যদি না গলে তাহলে গামলার পানি আরও একবার গরম করুন।
গরম পানির গামলা থেকে সাবধানে নিম, তেল, গ্লিসারিন, মোম আরও পানি মেশানো পাত্রটি তুলে এনে টেবিলে রাখুন।
৫-৭ মিনিট পর পাত্রের মধ্যে লেবুর রস ৫ ফোঁটা এবং যে কোন পারফিউম বা সুগন্ধি ৫ ফোঁটা ঢেলে দিন। এবার ছোট্ট একটি চামচ দিয়ে পাত্রের মিশ্রণটি ৫-৭ মিনিট নাড়তে থাকুন। তৈরি হয়ে যাবে মশা তাড়ানোর ক্রিম।
এই ক্রিম ফ্রিজে অথবা অপেক্ষাকৃত কম তাপমাত্রায় রাখতে হবে। তৈরির দিন থেকে ৬ মাস পর্যন্ত এ ক্রিম ব্যবহার করা যাবে। এই ক্রিমের গন্ধ একটু খরাপ হলেও ক্রিম হাতে পায়ে মেখে নিন। মশা আপনার কাছেও ঘেষবে না।