পুলিশ তদন্তে রিফাত শরিফ হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগ পেলে অবশ্যই প্রধান সাক্ষী মিন্নি আসামি হতে পারে। তবে মূল আসামি বাদ দিয়ে মিন্নিকে নিয়ে বেশি উৎসাহিত হওয়া উচিত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। রোববার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
একই সঙ্গে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বা সিআইডির তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একজন আইনজীবীর করা রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন আদালত।
আদালত রিটকারী আইনজীবীকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, এই রিট করার আইনজীবীর কোনো অধিকার নেই। রিট করলে মিন্নি করবে বা তার মা-বাবা করবে। পুলিশের তদন্তে অসন্তুষ্ট হলে মিন্নির পরিবারের কেউ আদালতে আসতে পারে। স্বাধীন দেশে এটা সবার অধিকার।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনালে ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
এর আগে গত ২৫ জুলাই বরগুনার আলোচিত রিফাত হত্যা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বা সিআইডির তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট দায়ের করেন।