বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: মহিলা হাজতখানা। যেখানে রাখার কথা মহিলা আসামীদেরকে। সেখানে রাখা হয়েছে নানা সামগ্রী। দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই পরিত্যক্ত হাজতখানাটি। সিলেটের বিশ্বনাথ থানার মহিলা হাজতখানার বর্তমান দশা এমনই। যার ফলে মহিলা আসামীদেরকে রাখতে হয় ডিউটি অফিসারের কক্ষে। তাতে করে আসামী যেমন বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন, তেমনি করে বাড়তি নজরদারীর ঝামেলা পোহাতে হয় থানা পুলিশকে।
জানা গেছে, অনেক দিনের পুরনো ও অনেকটাই জরাজীর্ণ ভবনেই চলছে বিশ্বনাথ থানা পুলিশের কার্যক্রম। সম্প্রতি থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএমের উদ্যোগে ভবনের বিভিন্ন অংশের সংস্কার ও সৌন্দর্য্যবর্ধনের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে তারই প্রচেষ্টায় নির্মিত হয়েছে একটি দৃষ্টিনন্দন গেট। কিন্তু থানারই অতিগুরুত্বপূর্ণ একটি কক্ষ ‘মহিলা হাজতখানা’ দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে পরিত্যক্ত অবস্থায়। এই হাজতখানায় রাখা হয় না মহিলা আসামীদেরকে। কোনো মামলায় কোনো মহিলা গ্রেফতার হলে তাকে রাখা হয় ডিউটি অফিসারের কক্ষে। কিন্তু ডিউটি অফিসারের কক্ষটিতে নানা প্রয়োজনে মানুষজন আসা-যাওয়ার কারণে বিব্রত ও ভোগান্তিতে পড়তে হয় মহিলা আসামীকে। অন্যদিকে, ডিউটি অফিসারের কক্ষে মহিলা আসামী রাখার কারণে থানা পুলিশকে দিতে হয় বাড়তি নজরদারী। বিশেষ করে রাতের বেলা এসব আসামী নিয়ে পুলিশকেই পড়তে হয় বিব্রতকর অবস্থায়।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, মহিলা হাজতখানা ঠিকই আছে। কিন্তু ভেতরে থানা পুলিশের ব্যবহার্য অনেক সামগ্রী রাখা। উপজেলার সচেতন মহল মনে করেন, মহিলা হাজতখানা থাকাস্বত্ত্বেও মহিলা আসামীদেরকে ডিউটি অফিসারের কক্ষে রাখা শুধু দৃষ্টিকটু নয়, অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ।
থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, মহিলা হাজতখানায় পরীক্ষার প্রশ্নপত্র রাখা হয়। কোনো মামলায় কোনো মহিলা গ্রেফতার হলে, তাকে রাখা হয় উিউটি অফিসারের কক্ষে। যেটি আসলেই ‘রিস্কি’। যদিও তাদের নিরাপত্তা ও পাহারায় বাড়তি পুলিশ রাখা হয়। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র রাখার জায়গা করে দেয়ার জন্যে আমি জেলা প্রশাসক, বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিক্ষা কর্মকর্তাকে অনেকবারই বলেছি। এখন আমি নিজেই উদ্যোগ নিয়ে থানার ভেতরেরই একটি কক্ষ প্রস্তুত করছি প্রশ্নপত্র রাখার জন্যে। কক্ষটির কাজ শেষ হলেই মহিলা আসামীদের জন্যে মহিলা হাজতখানা ব্যবহার করা হবে।