বিশ্বনাথে ‘আইয়ুব মিয়া সড়ক’র পার্শ্ববর্তী গাছ কর্তনের অভিযোগ

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: বিশ্বনাথ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ধর্মদা গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী তজম্মুল আলীর বাড়ির ‘আইয়ুব মিয়া সড়ক’ নামক রাস্তার পাশের গাছ জোরপূর্বক কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্মদা গ্রামের মৃত আসদ্দর আলীর পুত্র খলিলুর রহমান ও লুৎফুর রহমানকে অভিযুক্ত করে গাছ কর্তনের অভিযোগে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন প্রবাসী তজম্মুল আলীর বাড়ির কেয়ারটেকার আতিক আলী।


লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন- প্রবাসী তজম্মুল আলীর ভাই মরহুম আইয়ুব আলী ব্যক্তিগত উদ্যোগে অর্থায় ব্যয় করে নিজ ভূমির উপর বিশ্বনাথ-রশিদপুর সড়ক হইতে তার বাড়ি পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করেন। এরপর সীমানা পিলার বসিয়ে রাস্তার দু’পাশে মূল্যবান গাছ লাগিয়ে কেয়ারটেকার নিয়োগের মাধ্যমে তা পরিচর্যা করে আসছেন। রাস্তাটি নির্মাণের পর ১৯৮৯ সালের ১৯ মে উক্ত রাস্তায় দুস্কৃতিকারীদের হামলায় নিহত হন আইয়ুব আলী। তিনি নিহত হওয়ার পর তার স্মৃতি রক্ষার্থে পরিবারের পক্ষ হতে উক্ত রাস্তাটি ‘আইয়ুব মিয়া সড়ক’ নামে নামকরণ করা হয়। রাস্তা নির্মাণ ও গাছগাছালী রোপন করায় তা একদিকে যেমন সৌন্দর্যবর্ধন হয়েছে, তেমনি জীববৈচিত্র ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় উপকারী সুবিধা মিলছে। কিন্ত সম্প্রতি এইক গ্রামের খলিলুর রহমান ও লুৎফুর রহমান এই রাস্তার পার্শ্বের একটি বড় ‘শলকরই’ গাছ কর্তন করলে এতে বাঁধা দেন কেয়ারটেকার আতিক আলী। এরপর এলাকার মরব্বিদের মধ্যস্থতায় কর্তনকৃত গাছটি রাস্তার পার্শ্বে রয়েছে। ব্যক্তি মালিকানাধীন রাস্তা ও গাছগুলো বর্তমানে হুমকির সম্মুখীন। তাই নিজের স্বার্থ ও পরিবেশ রক্ষার্থে দুস্কৃতিকারীদের হাত হতে গাছগুলো রক্ষা করতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অভিযোগে আবেদন জানানো হয়।


এব্যাপারে অভিযুক্ত খলিলুর রহমান বলেন- ‘আইয়ুব মিয়া সড়ক’ নামে রাস্তাটির নামকরণ করা হলেও এটি সরকারি রাস্তা। গাছ কর্তনের অভিযোগটি অস্বীকার করে তিনি বলেন, রাস্তার পার্শ্ববর্তি আমার জায়গার উপর রোপনকৃত গাছটি ঝড়ে ওপরে পড়ে গেলে আমি গাছটি কর্তন করে রাস্তার উপর রেখেছি। বর্তমানে গাছটি থানার জিম্মায় রয়েছে।