জুড়ীতে আদালতের নির্দেশে জাহিদ হত্যা মামলায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গত ২০ জুলাই দুপুরে মৌলভীবাজার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ নজরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে পিবিআইয়ের একটি দল ফুলতলা বাজার, মাছহাটিস্থিত তার ২য় স্ত্রী মল্লিকার বাসাসহ ঘঠনার স্থান পরিদর্শন করেছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার বাদীসহ স্থানীয় লোকজনদের স্বাক্ষী গ্রহন করেন। এ সময় মামলার আসামী জুড়ী থানার এএসআই মোঃ ফরহাদ মিয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। গত ৫ জানুয়ারী শনিবার সন্ধ্যায় জুড়ী থানার পুলিশ, ২য় স্ত্রী মল্লিকা ও তার স্বজনদের সহায়তায় জাহিদ মিয়াকে প্রকাশ্য হত্যা করার অভিযোগ উঠে। উল্লেখ- জুড়ী থানার এএসআই মোঃ ফরহাদ মিয়া ধর্তব্য অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে ঘোরাফেরার (কা: বি: ১৫১) সন্দেহে গত ৮ ডিসেম্বর জাহিদ মিয়াকে কোন মামলা ছাড়াই ফুলতলা বাজার থেকে ধরে মৌলভীবাজার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫নং আমলী আদালতে প্রেরণ করেন। পরে আবার তিনিই গত ২৪/১২/২০১৮ইং তাকে মামলার দায় হতে অব্যাহতি দিয়ে একই আদালতে (ডিআর- ২৭০১, তারিখ- ২৫/১২/২০১৮ইং) প্রতিবেদন দাখিল করেন। একই ভাবে গত ৫ জানুয়ারী জনসমক্ষে জাহিদ মিয়াকে ইউপি অফিসের সামনে থাকা পুলিশভ্যানের কাছে নিয়ে গিয়ে ফুলতলা বাজার মাছহাটিস্থিত তার ২য় স্ত্রী মল্লিকার বাসায় নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে তার কাছ থেকে ৬ পিস ইয়াবা, ৪ বোতল ফেনসিডিল ও ২ বোতল মদ উদ্ধার করেছে বলে পুলিশ দাবী করে। অথচ- দীর্ঘদিন যাবৎ ২য় স্ত্রী মল্লিকার সাথে বিরোধ, মামলা-মোকদ্দমা চলছে জাহিদের। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, জলজ্যান্ত, সুস্থ্য, স্বাভাবিক জাহিদ মিয়াকে মল্লিকার বাসায় নিয়ে যাবার পর সে অচেতন হল কিভাবে ? আধাঘন্টা পর অচেতন জাহিদ মিয়াকে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে পুলিশভ্যানে না নিয়ে অটোরিক্সায় করে হাসপাতালে নিলো কেন ? গত ৮ জানুয়ারী দুপুর ১টার দিকে ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার আপোসের নামে জাহিদ মিয়ার পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা দিলেন কেন ? । সর্বশেষ এ ঘঠনায় মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২য় স্ত্রী মল্লিকা, জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, এএসআই মোঃ ফরহাদ মিয়াসহ ২০জনকে আসামী করে মামলা ( পিং- ২৮/২০১৯ (জুড়ী) দায়ের করা হয়।