স্টাফ রিপোর্টার,ঈশ্বরদী ॥ ঈশ্বরদীতে মাত্র পনের’শ টাকার লোভ সামলাতে না পেরে ভুল অপারেশন করে এক মাস পঁচিশ দিন বয়সী মিশকাত নামের এক শিশুকে হত্যা করেছে চিকিৎসক। ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়নের আড়ামবাড়িয়াস্থ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কেন্দ্রের উপ-সহকারী মেডিক্যাল অফিসার ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসায় শিশুকে হত্যার অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী ও নিহতের অভিভাবকরা। ঘটনা পর এলাকাবাসীরা ইকবালের ফাঁসির দাবিতে ফুঁসে উঠেছে। নিহতের পিতা সজিব,মাতা রুবি বেগম,দাদা-দাদি ও এলাকাবাসীদের দেওয়া অভিযোগ সুত্রে এসব তথ্য জানাগেছে।
সূত্রমতে,লালপুর উপজেলার পাটিকাবাড়ি গ্রামের ট্রাক হেলপার সজিবের ছেলে মিশকাতের প্র¯্রাব নালীতে সমস্যা দেখা দেয়। এ অবস্থায় গত সাতদিন আগে মা রুবি বেগম ও দাদি অজেলা বেগম মিশকাতকে নিয়ে ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়নের আড়ামবাড়িয়াস্থ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কেন্দ্রের উপ-সহকারী মেডিক্যাল অফিসার ইকবাল হোসেনের নিকট নিয়ে আসে। এসময় ইকবাল হোসেন মিশকাতকে সুন্নত করিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিলে তারা বাড়িতে ফিরে যায়। পুণরায় তারা আজ শনিবার দুপুর দু’টায় মিশকাতকে নিয়ে ইকবালের নিকট মিশকাতকে দেখানো ও পরামর্শের জন্য আসে। এ সময়ও ইকবাল মিশকাতকে সুন্নত করিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। এ সময় মিশকাতের মা ও দাদি সুন্নত না করানোর জন্য ইকবালের হাত পা ধরে অনুরোধ জানান। তখন ইকবাল বলেন পনের’শ টাকা দিলে মিশকাতকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ্য করা যাবে বলে আশ্বাস দেন। অভিভাবকদের আপত্তি থাকা সত্বেও তিনি মিশকাতকে সুন্নত করাতে গিয়ে প্যানিসের ভ্যান কেটে ফেলে। তখন মিশকাতের অবস্থা বেগতিক দেখে তিনি পর পর তিনটি ভুল ইনজেকশন দিলে মিশকাতের মর্মান্তিক মৃত্যু হলে তিনি কৌশলে পালিয়ে যান। এঘটনার পর এলাকাবাসী ভিড় করে ইকবালকে না পেয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে মরদেহের সুরতহাল শেষে থানায় নিয়ে আসে। এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার ওসি (তদন্ত) সাংবাদিকদের জানান,ময়না তদন্ত শেষে মামলা রেকর্ড ও প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।