টানা তৃতীয় মেয়াদে জয়ের জন্য ছুটছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিজেপির হয়ে মাঠে রয়েছেন তিনি। শোনা যায় দিনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৮ ঘণ্টাই কর্মব্যস্ত থাকেন তিনি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একই উদ্যমে কর্তব্য পালন করতে দেখা যায় তাকে। বিশেষ করে ভোটের সময় কখনো সভা, কখনো রোড শো, কখনো সাক্ষাৎকার দেওয়া আবার কখনো দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক।
তিনি এত কর্মব্যস্ত কীভাবে থাকেন এ প্রশ্নের জবাবে মোদি বলেন, তিনি নিশ্চিত তিনি জৈবিক প্রক্রিয়ায় এই সক্ষমতা পাননি। ঈশ্বরের আশীর্বাদই তার সক্ষমতার উৎস।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মোদি বলেছেন, ‘মা যতদিন বেঁচে ছিলেন আমার মনে হত, হয়তো জৈবিক প্রক্রিয়ায় আমার জন্ম হয়েছে। কিন্তু মায়ের মৃত্যুর পর নানা রকম অভিজ্ঞতা থেকে আমি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছি যে আমাকে ঈশ্বর পাঠিয়েছেন। এত শক্তি আমি কোনো জৈবিক প্রক্রিয়া থেকে পাইনি। ঈশ্বর আমাকে দিয়ে কাজ করাতে চান, সেজন্য আমাকে এই শক্তি তিনিই দিয়েছেন। আমাকে সামর্থ্যও তিনি দিয়েছেন, সদিচ্ছাও তিনি দিয়েছেন, প্রেরণাও তিনিই দিচ্ছেন।’
মোদি বলেন, ‘আমি কিছুই নই। আমি ঈশ্বরের তৈরি একটি যন্ত্র মাত্র। ঈশ্বর আমাকে দিয়ে কাজ করাতে চান, আমি করি। তবে সেই ঈশ্বরকে আমি দেখিনি। আমি ১৪০ কোটি দেশবাসীকেই ঈশ্বর বলে মনে করি।’
তার এই মন্তব্য অনেকেই অপব্যাখ্যা করতে পারে সেটা ভেবে মোদি বলেন, ‘আমি এটা বলার পর অনেকেই হয়তো বিশ্বাস করবে না। বামপন্থীরা আমাকে নিয়ে রসিকতা করবে। আমার চুল ছিঁড়ে নেবে।’
প্রধানমন্ত্রীর এই ‘ঈশ্বরের দূত’ মন্তব্যে নিয়ে তীব্র আক্রমণ এসেছে বিরোধী শিবির থেকে। কংগ্রেসের তরফে সংবাদ সম্মেলনে এক নেতা দাবি করেছেন, ‘বিজেপি নেতারা সুপরিকল্পিত ভাবে প্রচার করে মোদিকে ঈশ্বরের অবতার হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মোদি নিজেও বলছেন তিনি ঈশ্বরের দূত। একই ভাবে হিটলারের প্রচারযন্ত্র তাকে ঈশ্বরের দূত বলত। এটাই স্বৈরাচারীদের লক্ষণ।’