দিনাজপুরে নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস পালিত

// মনজিদ আলম শিমুল,দিনাজপুর প্রতিনিধি:: “আত্ম মর্যাদার পরিবেশ, কলঙ্কের হবে শেষ” এবারের এই 

প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে ২৮ জানুয়ারী রবিবার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আয়োজনে এবং জাতীয় কুষ্ঠ নির্মূল কর্মসূচীর আওতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঢাকা, ধানজুড়ি কুষ্ঠ চিকিৎসা কেন্দ্র, লেপ্রা বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল ১০টায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চত্বর হতে বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে জেনারেল হাসপাতালের ডাঃ আব্দুল জব্বার মিলনায়তনে আলোচনা সভার শুভ উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডাঃ এ এইচ এম বোরহান-উল-ইসলাম সিদ্দিকী। প্রধান অতিথি হিসেবে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতলের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ ফজলুর রহমান বক্তব্যে বলেন, কুষ্ঠরোগ একটি মৃদু সংক্রামক, এ রোগ জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হয়। চিকিৎসা নিলে এ রোগ সম্পূর্ণ ভাল হয়। প্রধানমন্ত্রী ঘোষনা দিয়েছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে কুষ্ঠরোগ নির্মূল করা সম্ভব হবে। কুষ্ঠ চিকিৎসা সেবাকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার সঙ্গে একতীভূত ও বিভিন্ন বেসরকারি সেবা প্রতিষ্ঠানকে কুষ্ঠ সেবায় সম্পৃক্ত করে এবং এই সমাজে সচেতন হতে অভিবাবকেেদর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরও সমাজে স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন এবং বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করার অধিকার রয়েছে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ শাহ্ মোঃ শরিফ,সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ কাওসার আহম্মেদ, ডাঃ মুহতাত আবিদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ধান জুড়ি কুষ্ঠ চিকিৎসা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আগাপিতা টুডু, পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের ফারজানা বেগম ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম, সিভিল সার্জন অফিসের প্রোগ্রাম অর্গানাইজার মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। ভিডিও প্রজেক্টরের মাধ্যমে কুষ্ঠ রোগের চলমান কার্যক্রম এবং সাফল্যজনক অর্জনের তথ্য উপস্থাপন করেন লেপ্রা বাংলাদেশ এর কো-অর্ডিনেটর চঞ্চল সাহা। 

আলোচনা সভা শেষে সিভিল সার্জন ডাঃ এ এইচ এম বোরহান-উল-ইসলাম সিদ্দিকী সমাপনী বক্তব্যে বলেন কুষ্ঠ মানব ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাচীন রোগ। ২০২৩ সাল বাংলাদেশে মোট কুষ্ঠরোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৩৯ জন আর দিনাজপুর জেলায় ৩০২ জন কুষ্ঠরোগী রয়েছে। অন্যান্য জেলার তুলনায় কুষ্ঠরোগ নির্মূলে সন্তোষজনক কার্যক্রম বাস্তবায়ন হচ্ছে দিনাজপুরে। জনগনের সচেতনতা বৃৃদ্ধি করে কুষ্ঠ সেবায় সম্পৃক্ত করতে পারলে এ ব্যাপারে ব্যাপক সফলতা অর্জন করা সম্ভব হবে।