// ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
প্রকৃতিক সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি ঈশ্বরদীর পাকশীতে প্রতিষ্টিত দৃষ্টিনন্দন ‘পাকশী রিসোর্ট’ অবৈধভাবে দখল প্রচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাকশী রিসোর্ট লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত বিশিষ্ঠ শিল্পপতি আকরাম আলী খান সঞ্জুর স্ত্রী মোনাজ্জামা মুষতারী তানিয়া অবৈধভাবে রিসোর্ট দখল প্রচেষ্টার জন্য ঈশ্বরদী থানা, এবং পাকশী ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দাখিল করেছেন। এমনকি রিসোর্টের মালিকানার জন্য ভূয়া কাগজপত্র তৈরীর অপচেষ্টায় লিপ্ত বলে তানিয়া জানিয়েছেন।
অভিযোগে বলা হয়, ২০২১ সালে আকরাম আলী খান সঞ্জু মৃত্যুর পর তাঁর বড় ভাই আহসান আলী খান আরজুকে মৌখিকভাবে রিসোর্ট অস্থায়ীভাবে পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে আরজু খান এখন আমি ও আমার ছেলেদের রিসোর্টে প্রবেশে বাধা এবং বহিরাগত লোকজন নিয়ে লাঞ্ছিত করাসহ নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে।
ঈশ্বরদীর পাকশীতে প্রায় ১৮ বছর আগে সর্বপ্রথম এই ‘পাকশী রিসোর্ট ’ প্রতিষ্ঠিত হয়। কাগজপত্রে দেখা যায়, পাকশী রিসোর্ট লিঃ এর ৫০ ভাগের মালিক আকরাম আলী খান সঞ্জু অবশিষ্ঠ ৫০ ভাগের মালিক তাঁর স্ত্রী মোনাজ্জামা মুষতারী তানিয়া।
রবিবার (২৮ জানুয়ারী) সকালে রিসোর্টের চেয়ারম্যান তানিয়া বলেন, ‘সঞ্জু মৃত্যুর পর আমরা পাকশীতে না থাকার কারণে রিসোর্ট পরিচালনার জন্য আহসান আলী খান আরজুকে মৌখিকভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এজন্য প্রতিমাসে আমাদের এক লাখ টাকা করে দেওয়ার কথা। ছয় মাস ঠিকঠাক মতো টাকা দেওয়ার পর আরজু যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় এবং পাওনাদি পরিশোধ করে না। এঅবস্থায় প্রায় সপ্তাহখানেক আগে রিসোর্ট পরিচালনা নিজ দায়িত্বে নেয়ার জন্য আমি ঈশ্বরদীতে এলে আরজু খান বহিরাগত লোকজন নিয়ে রিসোর্টে প্রবেশে বাধাপ্রদানসহ নানাভাবে লাঞ্ছিত করে। হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য রিসোর্টটি সম্পূর্নভাবে নিজের ভোগ দখলের পরিকল্পনায় লিপ্ত হয়েছেন। বহিরাগত লোকজন দিয়ে আমিসহ আমার ছেলেদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছেন, যেন আমরা রিসোর্ট পরিচালনা করতে না পারি। এ অবস্থায় আমি ঈশ্বরদী থানা ও পাকশী ইউনিয়ন পরিষদে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
অভিযোগ অস্বীকার করে আহসান আলী খান আরজু খান বলেন, মৌখিকভাবে আমাকে রিসোর্ট পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো। মোনাজ্জামা মুশতারী তানিয়া বাহিরে থাকায় আমি প্রতিমাসে টাকা পাঠিয়ে দেই। হঠাৎ করে তিনি রিসোর্টে এসে সমস্ত কিছু পরিচালনার দায়িত্ব নিজে নিতে চান। আমাকে এবিষয়ে আগে থেকে অবহিত করা বা কোন সময় দেওয়া হয়নি। বিষয়টি পারিবারিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করছি।
পাকশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিন্টু বলেন, পরিষদে লিখিত অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে রিসোর্টে গিয়েছিলাম। পারিবারিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি। থানার তদন্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।